ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেলিম প্রধানের ২০০ কোটি টাকা বিদেশে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / 99

সংশ্লিষ্ট্র সূত্র জানিয়েছে, তথ্যের প্রয়োজনে তাকে আবারও রিমান্ডে নেয়া হতে পারে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানের ফ্লাইট থেকে তাকে নামিয়ে আনে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ। পরে বনানীতে তার বাসা ও গুলশানের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের বিদেশী মুদ্রা, মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গত ১লা অক্টোবর র‌্যাব-১ এর নায়েব মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে দুই দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়াও ২৭শে অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদক বাদী হয়ে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম গতকাল নিউজ লাইট ৭১ কে জানান, সেলিম প্রধান আদালতের আদেশে কারাগারে আছেন। তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম প্রধান জাপানে থাকা অবস্থায় উত্তর কোরিও নাগরিক মিস্টার দো এর সঙ্গে পরিচয় ঘটে। সেখানে তিনি অনলাইন ক্যাসিনোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে বাংলাদেশে ফিরে তিনি পি-২১ ও পি-২৪ নামে দুইটি সাইট চালাতেন। গুলশানে আলিশান অফিস গড়ে তুলেছিলেন ওই ক্যাসিনো ডন। ওই সাইট থেকে তিনি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা টাকা আয় করেছেন। অনলাইনে ক্যাসিনো বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকার কারণে ওই টাকা তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন। সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি মাল্টায় যেতেন। সেখানে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক সানরাইজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রে ধরে তিনি একাধিকবার সুইজারল্যান্ডে গেছেন। উদ্ধার করা তার পাসপোর্টে সুইজারল্যান্ডের ভিসা লক্ষ্য করেছেন তদন্তকারীরা। সেলিম প্রধান সুইজারল্যান্ডের চেইঞ্জ কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি টাকায় ২০০ কোটি রেখেছেন বলে জানা গেছে। তদন্তকারীরা বিষয়টি সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশের দূতাবাসকে অবহিত করেছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

সেলিম প্রধানের ২০০ কোটি টাকা বিদেশে

আপডেট টাইম : ০৮:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

সংশ্লিষ্ট্র সূত্র জানিয়েছে, তথ্যের প্রয়োজনে তাকে আবারও রিমান্ডে নেয়া হতে পারে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানের ফ্লাইট থেকে তাকে নামিয়ে আনে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ। পরে বনানীতে তার বাসা ও গুলশানের অফিসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমানের বিদেশী মুদ্রা, মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় গত ১লা অক্টোবর র‌্যাব-১ এর নায়েব মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে দুই দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়াও ২৭শে অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদক বাদী হয়ে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম গতকাল নিউজ লাইট ৭১ কে জানান, সেলিম প্রধান আদালতের আদেশে কারাগারে আছেন। তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সেলিম প্রধান জাপানে থাকা অবস্থায় উত্তর কোরিও নাগরিক মিস্টার দো এর সঙ্গে পরিচয় ঘটে। সেখানে তিনি অনলাইন ক্যাসিনোর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে বাংলাদেশে ফিরে তিনি পি-২১ ও পি-২৪ নামে দুইটি সাইট চালাতেন। গুলশানে আলিশান অফিস গড়ে তুলেছিলেন ওই ক্যাসিনো ডন। ওই সাইট থেকে তিনি অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা টাকা আয় করেছেন। অনলাইনে ক্যাসিনো বাংলাদেশে অনুমোদন না থাকার কারণে ওই টাকা তিনি অবৈধভাবে আয় করেছেন। সূত্র জানায়, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি মাল্টায় যেতেন। সেখানে সুইজারল্যান্ডের নাগরিক সানরাইজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সূত্রে ধরে তিনি একাধিকবার সুইজারল্যান্ডে গেছেন। উদ্ধার করা তার পাসপোর্টে সুইজারল্যান্ডের ভিসা লক্ষ্য করেছেন তদন্তকারীরা। সেলিম প্রধান সুইজারল্যান্ডের চেইঞ্জ কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি টাকায় ২০০ কোটি রেখেছেন বলে জানা গেছে। তদন্তকারীরা বিষয়টি সুইজারল্যান্ডের বাংলাদেশের দূতাবাসকে অবহিত করেছেন।