ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 95

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা সব জায়গাতেই তিনি ছিলেন সরব। রুপালী পর্দায় দাপুটে অভিনয় দিয়ে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি কেবল একজন গুণী অভিনেতা নন, তিনি একাধারে একজন পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। বাংলা চলচ্চিত্র এবং নাটকে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তবে আজ সবই অতীত।পর্দার সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি আজ সব পেছনে ফেলে পাড়ি জমিয়েছেন দূর আকাশে। 

তবে এই গুণী  কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকারের মাঝে যে লুকিয়ে আছে একজন গুণী অভিনেতা সেই বিষয়টি সামনে আসে ১৯৬৫ সালের দিকে। শুরুটা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে হলেও তিনি খলনায়কেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। 

শুরুতে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রটিতে খল চরিত্র তাকে অভিনেতার তকমা এনে দেয়। 

গত শতকে অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো : কেরামত আলী ভন্ড (১৯৯৮), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), অজান্তে (১৯৯৬), ঘৃণা (১৯৯৪), ত্যাগ (১৯৯৩), চাকর (১৯৯২), ন্যায় যুদ্ধ (১৯৯১), চাঁপা ডাঙ্গার বউ (১৯৮৬), পরিণীতা (১৯৮৬), আশার আলো (১৯৮২), মহানগর (১৯৮১), ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), মাটির ঘর (১৯৭৯), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), অশিক্ষিত (১৯৭৮), যাদুর বাঁশি (১৯৭৭), অনন্ত প্রেম (১৯৭৭), নয়ন মনি (১৯৭৬), লাঠিয়াল (১৯৭৫), চোখের জলে (১৯৭৪), সংগ্রাম (১৯৭৪), ভুল যখন ভাঙ্গলো (১৯৭৪), স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা (১৯৭৩), শ্লোগান (১৯৭৩), অবুঝ মন (১৯৭২), ওরা ১১ জন (১৯৭২), বড় বউ (১৯৭০), মলুয়া (১৯৬৯), সুয়োরাণী দুয়োরাণী (১৯৬৮)।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফা (২০১৯), পাংকু জামাই (২০১৮), এক পৃথিবী প্রেম (২০১৬), আইসক্রিম (২০১৬), দ্য স্টোরি অব সামারা (২০১৫), দুই বেয়াইয়ের কীর্তি (২০১৫), দুটি মনের পাগলামী (২০১৪), পাগল তোর জন্য রে (২০১৩), আত্মগোপন (২০১২), চোরাবালি (২০১২), লাল টিপ (২০১২), জিদ্দি বউ (২০১২), মায়ের জন্য পাগল (২০১১), গেরিলা (২০১১)।

এছাড়াও পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), যেমন জামাই তেমন বউ (২০১০), আমার স্বপ্ন (২০১০), চেহারা (২০১০), ওপারে আকাশ (২০০৯), রিটার্ণ টিকিট (২০০৯), চাঁদের মত বউ (২০০৯), আদরের ছোট ভাই (২০০৯), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), পৃথিবী টাকার গোলাম (২০০৯), এবাদত (২০০৯), আক্কেল আলীর নির্বাচন (২০০৮), দুঃখিনী জোহরা (২০০৭), বাংলার বউ (২০০৭), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), গ্রাম গঞ্জের পিরিতি (২০০৭), জন্ম (২০০৬), সাথী তুমি কার (২০০৬), দাদীমা (২০০৬), আয়না (২০০৬), ভালবাসা ভালবাসা (২০০৬), আমার স্বপ্ন তুমি (২০০৫), টক ঝাল মিষ্টি (২০০৫), মোল্লা বাড়ীর বউ (২০০৫), হাজার বছর ধরে (২০০৫), শাস্তি (২০০৪), আধিয়ার (২০০৩), ওদের ধর (২০০২), শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ (২০০১), মনে পড়ে তোমাকে (২০০০) ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়ে কোয়েল আহমেদ। 

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা সব জায়গাতেই তিনি ছিলেন সরব। রুপালী পর্দায় দাপুটে অভিনয় দিয়ে পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছেন অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তিনি কেবল একজন গুণী অভিনেতা নন, তিনি একাধারে একজন পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার। বাংলা চলচ্চিত্র এবং নাটকে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তবে আজ সবই অতীত।পর্দার সেই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি আজ সব পেছনে ফেলে পাড়ি জমিয়েছেন দূর আকাশে। 

তবে এই গুণী  কাহিনীকার ও চিত্রনাট্যকারের মাঝে যে লুকিয়ে আছে একজন গুণী অভিনেতা সেই বিষয়টি সামনে আসে ১৯৬৫ সালের দিকে। শুরুটা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে হলেও তিনি খলনায়কেও ছিলেন সমান জনপ্রিয়। 

শুরুতে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রটিতে খল চরিত্র তাকে অভিনেতার তকমা এনে দেয়। 

গত শতকে অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো : কেরামত আলী ভন্ড (১৯৯৮), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), অজান্তে (১৯৯৬), ঘৃণা (১৯৯৪), ত্যাগ (১৯৯৩), চাকর (১৯৯২), ন্যায় যুদ্ধ (১৯৯১), চাঁপা ডাঙ্গার বউ (১৯৮৬), পরিণীতা (১৯৮৬), আশার আলো (১৯৮২), মহানগর (১৯৮১), ছুটির ঘণ্টা (১৯৮০), মাটির ঘর (১৯৭৯), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), অশিক্ষিত (১৯৭৮), যাদুর বাঁশি (১৯৭৭), অনন্ত প্রেম (১৯৭৭), নয়ন মনি (১৯৭৬), লাঠিয়াল (১৯৭৫), চোখের জলে (১৯৭৪), সংগ্রাম (১৯৭৪), ভুল যখন ভাঙ্গলো (১৯৭৪), স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা (১৯৭৩), শ্লোগান (১৯৭৩), অবুঝ মন (১৯৭২), ওরা ১১ জন (১৯৭২), বড় বউ (১৯৭০), মলুয়া (১৯৬৯), সুয়োরাণী দুয়োরাণী (১৯৬৮)।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আলফা (২০১৯), পাংকু জামাই (২০১৮), এক পৃথিবী প্রেম (২০১৬), আইসক্রিম (২০১৬), দ্য স্টোরি অব সামারা (২০১৫), দুই বেয়াইয়ের কীর্তি (২০১৫), দুটি মনের পাগলামী (২০১৪), পাগল তোর জন্য রে (২০১৩), আত্মগোপন (২০১২), চোরাবালি (২০১২), লাল টিপ (২০১২), জিদ্দি বউ (২০১২), মায়ের জন্য পাগল (২০১১), গেরিলা (২০১১)।

এছাড়াও পরাণ যায় জ্বলিয়া রে (২০১০), যেমন জামাই তেমন বউ (২০১০), আমার স্বপ্ন (২০১০), চেহারা (২০১০), ওপারে আকাশ (২০০৯), রিটার্ণ টিকিট (২০০৯), চাঁদের মত বউ (২০০৯), আদরের ছোট ভাই (২০০৯), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), পৃথিবী টাকার গোলাম (২০০৯), এবাদত (২০০৯), আক্কেল আলীর নির্বাচন (২০০৮), দুঃখিনী জোহরা (২০০৭), বাংলার বউ (২০০৭), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), গ্রাম গঞ্জের পিরিতি (২০০৭), জন্ম (২০০৬), সাথী তুমি কার (২০০৬), দাদীমা (২০০৬), আয়না (২০০৬), ভালবাসা ভালবাসা (২০০৬), আমার স্বপ্ন তুমি (২০০৫), টক ঝাল মিষ্টি (২০০৫), মোল্লা বাড়ীর বউ (২০০৫), হাজার বছর ধরে (২০০৫), শাস্তি (২০০৪), আধিয়ার (২০০৩), ওদের ধর (২০০২), শ্বশুরবাড়ী জিন্দাবাদ (২০০১), মনে পড়ে তোমাকে (২০০০) ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় গত বুধবার সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিলো। কিন্তু হাসপাতালে থাকতে না চাওয়ায় শুক্রবার বিকেলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেয়ে কোয়েল আহমেদ। 

নিউজ লাইট ৭১