ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 78

ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই গেল বাংলাদেশ। টাইগারদেরকে ১৭ রানে হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিলো ক্যারিবীয়রা।

দলীয় ৫৯ রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ৩১ বলে ১১ রান তুলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেন।

ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। ৪৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান।

অন্যদিকে ৩০ বলে ১৪ রান করে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। যদিও রিভিউ নিয়েও সে যাত্রায় বাঁচতে পারেননি তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর রান তাড়া যেন আরও কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য।

বাংলাদেশের জন্য কাজটা আরও কঠিন করেন কর্ণওয়ালই। দলীয় ১১৫ রানে মিঠুনকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ১১৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কাজটা যখন কঠিন হয়ে পড়ে তখনই কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।

দুই ব্যাটসম্যানই কর্ণওয়াল, ওয়ারিক্যানকে বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন। সেই সাথে এই দুই ব্যাটসম্যানকে দিতে হচ্ছে ধৈর্য পরীক্ষাও। কিন্ত মুমিনুলও আশা দেখিয়ে টিকতে পারলেন না ক্রিজে। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ারিক্যানের বলে থামতে হয় তাকে।

আউট হওয়ার আগে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বাংলাদেশের জন্য জয়ের কাজটা আরও কঠিন হয় দলীয় ৬ রান যোগ করতেই। কর্ণওয়ালের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে উইকেটকিপার জশুয়া ডা সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর একপাশ থেকে আগলে রেখে বাংলাদেশের জয়ের আশা টিকিয়ে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের সঙ্গে তাইজুল কিছুটা সঙ্গ দিলেও দলীয় ১৬৩ রানে আউট হন তিনি।

নবম উইকেট জুটিতে দলীয় স্কোরবোর্ডে মিরাজের সঙ্গে ২৫ রান যোগ করেন নাঈম। তবে সেই নাঈমও বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা হতে পারলেন না। ক্রেগ ব্র্যাফেটের বলেই এলবিডব্লুর শিকার হতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নাঈমকে (১৪)।

তবে তখনও আশা টিকিয়ে রাখেন মিরাজ। ৫৯তম ওভারে কর্ণওয়েলকে ছয় এবং চার মেরে লড়াই চালিয়ে যান মেহেদী হাসান। তবে নাটকের শেষটা হয় কর্ণওয়ালের হাতেই। দলের যখন ১৮ রান প্রয়োজন তখনই ওয়ারিক্যানের বলে স্লিপে থাকা কর্ণওয়ালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। সেই সাথে শেষ হয় মিরাজের লড়াকু ৩১ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ৪০৯ (বনার ৯০, জশুয়া ডা সিলভা ৯২: আবু জায়েদ ৪-৯৮)

বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪ঃ কর্ণওয়েল ৫-৭৪)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস)  ১১৭ (বনার ৩৮, জশুয়া ডা সিলভা ২০ঃ তাইজুল ৪-৩৬)

বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ২১৩ (তামিম ৫০, মুমিনুল ২৬, মিরাজ ৩১ : কর্ণওয়াল ৪-১০৫)

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ

আপডেট টাইম : ০৬:২৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরেই গেল বাংলাদেশ। টাইগারদেরকে ১৭ রানে হারিয়ে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিলো ক্যারিবীয়রা।

দলীয় ৫৯ রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি। ৩১ বলে ১১ রান তুলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেন।

ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম ইকবাল। ৪৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান।

অন্যদিকে ৩০ বলে ১৪ রান করে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। যদিও রিভিউ নিয়েও সে যাত্রায় বাঁচতে পারেননি তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর রান তাড়া যেন আরও কঠিন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের জন্য।

বাংলাদেশের জন্য কাজটা আরও কঠিন করেন কর্ণওয়ালই। দলীয় ১১৫ রানে মিঠুনকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ১১৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কাজটা যখন কঠিন হয়ে পড়ে তখনই কিছুটা আশা দেখাচ্ছিলেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।

দুই ব্যাটসম্যানই কর্ণওয়াল, ওয়ারিক্যানকে বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন। সেই সাথে এই দুই ব্যাটসম্যানকে দিতে হচ্ছে ধৈর্য পরীক্ষাও। কিন্ত মুমিনুলও আশা দেখিয়ে টিকতে পারলেন না ক্রিজে। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়ারিক্যানের বলে থামতে হয় তাকে।

আউট হওয়ার আগে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বাংলাদেশের জন্য জয়ের কাজটা আরও কঠিন হয় দলীয় ৬ রান যোগ করতেই। কর্ণওয়ালের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে উইকেটকিপার জশুয়া ডা সিলভার হাতে ক্যাচ তুলে দেন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর একপাশ থেকে আগলে রেখে বাংলাদেশের জয়ের আশা টিকিয়ে রাখেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের সঙ্গে তাইজুল কিছুটা সঙ্গ দিলেও দলীয় ১৬৩ রানে আউট হন তিনি।

নবম উইকেট জুটিতে দলীয় স্কোরবোর্ডে মিরাজের সঙ্গে ২৫ রান যোগ করেন নাঈম। তবে সেই নাঈমও বাংলাদেশের ত্রাণকর্তা হতে পারলেন না। ক্রেগ ব্র্যাফেটের বলেই এলবিডব্লুর শিকার হতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় নাঈমকে (১৪)।

তবে তখনও আশা টিকিয়ে রাখেন মিরাজ। ৫৯তম ওভারে কর্ণওয়েলকে ছয় এবং চার মেরে লড়াই চালিয়ে যান মেহেদী হাসান। তবে নাটকের শেষটা হয় কর্ণওয়ালের হাতেই। দলের যখন ১৮ রান প্রয়োজন তখনই ওয়ারিক্যানের বলে স্লিপে থাকা কর্ণওয়ালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। সেই সাথে শেষ হয় মিরাজের লড়াকু ৩১ রানের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) ৪০৯ (বনার ৯০, জশুয়া ডা সিলভা ৯২: আবু জায়েদ ৪-৯৮)

বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪ঃ কর্ণওয়েল ৫-৭৪)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস)  ১১৭ (বনার ৩৮, জশুয়া ডা সিলভা ২০ঃ তাইজুল ৪-৩৬)

বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ২১৩ (তামিম ৫০, মুমিনুল ২৬, মিরাজ ৩১ : কর্ণওয়াল ৪-১০৫)

নিউজ লাইট ৭১