ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিক গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 85

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- মো. মফিজুর রহমান মামুন।

সোমবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ।

সোমবার ভোরে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশে রাস্তা হতে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়।

তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির  অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ২ টি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারকৃত মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন।

সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গমন করে।

পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

গ্রেপ্তারকৃত আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:২২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- মো. মফিজুর রহমান মামুন।

সোমবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে মর্মে তথ্য পায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

বিষয়টিতে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। উক্ত সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে পুলিশ।

সোমবার ভোরে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশে রাস্তা হতে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়।

তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির  অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও ২ টি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রেপ্তারকৃত মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন।

সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গমন করে।

পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

গ্রেপ্তারকৃত আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১