ঢাকা ০৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ফ্লাইং কার’ তৈরির শেষ ধাপে অবস্থান

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 80

যানজট এড়ানোর লক্ষে বেশ কয়েকটি দেশ ‘ফ্লাইং কার’ তৈরির শেষ ধাপে অবস্থান করছে। তবে এসব গাড়ি উড়ানো হবে কোথা থেকে? নাকি, যে যাঁর নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই গাড়ি নিয়ে পাড়ি দেবে আকাশে! তবে ব্রিটেন জানালো, তারা তৈরি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বিমানবন্দর। যেখানে ওঠানামা করবে শুধুই ফ্লাইং কার। নভেম্বরেই কভেন্ট্রি শহরে আমজনতা দেখবে সেই এয়ারপোর্ট। খবর আনন্দবাজার

ব্রিটেনের স্টার্ট-আপ সংস্থা ‘আরবান এয়ারপোর্ট’র সঙ্গে এই প্রকল্পে আরো যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই মোটর। এর জন্য মিলেছে ১২ লাখ পাউন্ড সরকারি অনুদান।

স্টার্ট আপ সংস্থাটির দাবি, তারাই প্রথম এই ধরনের সম্পূর্ণ এয়ারপোর্ট আনছে বিশ্বে। নাম, এয়ার-ওয়ান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রিকি সাঁধু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি সাহায্য আর হুন্ডাইয়ের পাশে দাঁড়ানোতেই আমরা আজ এতটা আত্মবিশ্বাসী। যাত্রিবাহী ড্রোন কিংবা পণ্যবাহী ছোট গাড়ি ল্যান্ডিং প্যাড থেকে কীভাবে ওঠা-নামা করবে, সব ব্যবস্থাই প্রায় তৈরি।’

তবে এ খবরে অনেকে উচ্ছ্বসিত হলেও, এই জাতীয় এয়ারপোর্ট তৈরির পেছনে সরকারও খরচ করছে জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি নেটিজেনের একাংশ। কেউ এর সঙ্গে কোভিড বরাদ্দের তুলনা টেনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে।

তবু এসব কথায় কান দিতে নারাজ ‘আরবান এয়ারপোর্ট’ স্টার্ট আপ সংস্থাটি। রিকির ভাষ্য, ২-৩ বছর ধরেই উড়ন্ত যান তৈরি বলে খবর পাচ্ছি নানা দেশ থেকে। কিন্তু যথাযথ এয়ারপোর্ট নিয়ে কোনো কথাই হচ্ছিলো না। স্টেশন ছাড়া ট্রেনে ওঠানামা করবেন কী করে? তাই আমরাই নজির তৈরি করে দেখাব দুনিয়াকে।’

একটা সময় পর্যন্ত ফ্লাইং কার শুধু কল্পবিজ্ঞানেরই অংশ ছিল। গত বছরই নিজেদের তৈরি উড়ন্ত যানে এক যাত্রীকে নিয়ে সফল পরীক্ষা করেছে জাপানের স্কাইড্রাইভ ইনকর্পোরেশন। ২০২৩-এর মধ্যেই বাজারে এই গাড়ি আনবে বলে জানিয়েছে তারা। স্লোভাকিয়ান একটি সংস্থাও ৩০ বছরের পরিশ্রমে এমন একটি গাড়ি (এয়ারকার) তৈরি করেছে যা চোখের পলকে বদলে যাবে বিমানে। ।

এরই মধ্যে বন্দর সুখবর এল ব্রিটেন থেকে। পপআপ জাতীয় গাড়ি বন্দর। যাতে থাকবে ছোট রানওয়ে আর ১৪ মিটার ব্যাসার্ধের ল্যান্ডিং প্যাড। গাড়ি আকাশ থেকে নেমে প্যাড ছুঁলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা ঢুকে যাবে বন্দরের অন্দরে। কভেন্ট্রি শহরের প্রাণকেন্দ্রে রিকো এরিনা স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি পার্কিং লটকে বদলে এটি তৈরি করা হচ্ছে। আবার প্রয়োজন মতো অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এই মোবাইল এয়ারপোর্টের।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

‘ফ্লাইং কার’ তৈরির শেষ ধাপে অবস্থান

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

যানজট এড়ানোর লক্ষে বেশ কয়েকটি দেশ ‘ফ্লাইং কার’ তৈরির শেষ ধাপে অবস্থান করছে। তবে এসব গাড়ি উড়ানো হবে কোথা থেকে? নাকি, যে যাঁর নিজের বাড়ির ছাদ থেকেই গাড়ি নিয়ে পাড়ি দেবে আকাশে! তবে ব্রিটেন জানালো, তারা তৈরি করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট বিমানবন্দর। যেখানে ওঠানামা করবে শুধুই ফ্লাইং কার। নভেম্বরেই কভেন্ট্রি শহরে আমজনতা দেখবে সেই এয়ারপোর্ট। খবর আনন্দবাজার

ব্রিটেনের স্টার্ট-আপ সংস্থা ‘আরবান এয়ারপোর্ট’র সঙ্গে এই প্রকল্পে আরো যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই মোটর। এর জন্য মিলেছে ১২ লাখ পাউন্ড সরকারি অনুদান।

স্টার্ট আপ সংস্থাটির দাবি, তারাই প্রথম এই ধরনের সম্পূর্ণ এয়ারপোর্ট আনছে বিশ্বে। নাম, এয়ার-ওয়ান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রিকি সাঁধু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি সাহায্য আর হুন্ডাইয়ের পাশে দাঁড়ানোতেই আমরা আজ এতটা আত্মবিশ্বাসী। যাত্রিবাহী ড্রোন কিংবা পণ্যবাহী ছোট গাড়ি ল্যান্ডিং প্যাড থেকে কীভাবে ওঠা-নামা করবে, সব ব্যবস্থাই প্রায় তৈরি।’

তবে এ খবরে অনেকে উচ্ছ্বসিত হলেও, এই জাতীয় এয়ারপোর্ট তৈরির পেছনে সরকারও খরচ করছে জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি নেটিজেনের একাংশ। কেউ এর সঙ্গে কোভিড বরাদ্দের তুলনা টেনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে।

তবু এসব কথায় কান দিতে নারাজ ‘আরবান এয়ারপোর্ট’ স্টার্ট আপ সংস্থাটি। রিকির ভাষ্য, ২-৩ বছর ধরেই উড়ন্ত যান তৈরি বলে খবর পাচ্ছি নানা দেশ থেকে। কিন্তু যথাযথ এয়ারপোর্ট নিয়ে কোনো কথাই হচ্ছিলো না। স্টেশন ছাড়া ট্রেনে ওঠানামা করবেন কী করে? তাই আমরাই নজির তৈরি করে দেখাব দুনিয়াকে।’

একটা সময় পর্যন্ত ফ্লাইং কার শুধু কল্পবিজ্ঞানেরই অংশ ছিল। গত বছরই নিজেদের তৈরি উড়ন্ত যানে এক যাত্রীকে নিয়ে সফল পরীক্ষা করেছে জাপানের স্কাইড্রাইভ ইনকর্পোরেশন। ২০২৩-এর মধ্যেই বাজারে এই গাড়ি আনবে বলে জানিয়েছে তারা। স্লোভাকিয়ান একটি সংস্থাও ৩০ বছরের পরিশ্রমে এমন একটি গাড়ি (এয়ারকার) তৈরি করেছে যা চোখের পলকে বদলে যাবে বিমানে। ।

এরই মধ্যে বন্দর সুখবর এল ব্রিটেন থেকে। পপআপ জাতীয় গাড়ি বন্দর। যাতে থাকবে ছোট রানওয়ে আর ১৪ মিটার ব্যাসার্ধের ল্যান্ডিং প্যাড। গাড়ি আকাশ থেকে নেমে প্যাড ছুঁলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা ঢুকে যাবে বন্দরের অন্দরে। কভেন্ট্রি শহরের প্রাণকেন্দ্রে রিকো এরিনা স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি পার্কিং লটকে বদলে এটি তৈরি করা হচ্ছে। আবার প্রয়োজন মতো অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এই মোবাইল এয়ারপোর্টের।

নিউজ লাইট ৭১