ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 85

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশে চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়া হয়নি, তবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত এবং সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিবিসি।

মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে, এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘চীন মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী, এবং আমরা আমা করি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষ তাদের মতভেদ দূর করবে, এবং রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’ মিয়ানমারের সাথে চীনে দীর্ঘ ২,২০০ কিমি সীমান্ত রয়েছে যার বেশ কিছু অংশে মিয়ানমারে সশস্ত্র কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তৎপর।

তাছাড়া তাদের উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য চীনের কাছে মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। চীন গত বছরগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। চীনের ইউনান প্রদেশ প্রদেশ থেকে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত একটি রেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যার জন্য চীন প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।

গত মাসের মাঝামাঝি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। ঐ সফরে তিনি অং সান সুচি সহ মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের সাতেও বৈঠক করেন। মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের। দেশটিতে আগের সামরিক স্বৈরশাসকদের পাশে ছিল বেইজিং, আবার অং সান সু চি নেতা হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে চীনারা।

সোমবার সকালে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাগ্রহণ করে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারে চীনের যথেষ্ট অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে তেল-গ্যাস পাইপলাইনের বিশাল প্রকল্প রয়েছে চীনাদের।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে

আপডেট টাইম : ০৬:৪১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশে চীন খুবই সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আলাদাভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়া হয়নি, তবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তাদের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত এবং সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিবিসি।

মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মিয়ানমারের ঘটনাবলির দিকে চীন নজর রাখছে, এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘চীন মিয়ানমারের বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী, এবং আমরা আমা করি দেশের সাংবিধানিক এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষ তাদের মতভেদ দূর করবে, এবং রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।’ মিয়ানমারের সাথে চীনে দীর্ঘ ২,২০০ কিমি সীমান্ত রয়েছে যার বেশ কিছু অংশে মিয়ানমারে সশস্ত্র কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তৎপর।

তাছাড়া তাদের উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের জন্য চীনের কাছে মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। চীন গত বছরগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। চীনের ইউনান প্রদেশ প্রদেশ থেকে মিয়ানমারের পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত একটি রেল লাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে যার জন্য চীন প্রায় ৯০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।

গত মাসের মাঝামাঝি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। ঐ সফরে তিনি অং সান সুচি সহ মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বের সাতেও বৈঠক করেন। মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের। দেশটিতে আগের সামরিক স্বৈরশাসকদের পাশে ছিল বেইজিং, আবার অং সান সু চি নেতা হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে চীনারা।

সোমবার সকালে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতাদের আটকের পর এক বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাগ্রহণ করে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারে চীনের যথেষ্ট অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। দেশটির মধ্য দিয়ে তেল-গ্যাস পাইপলাইনের বিশাল প্রকল্প রয়েছে চীনাদের।

নিউজ লাইট ৭১