স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কেউ থাকতে পারছে না
- আপডেট টাইম : ০৬:১০:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 89
অনেকের কাছে স্মার্টফোন এমন একটি প্রযুক্তি যা দিয়ে অসংখ্য কাজ করা যেতে পারে। এখন স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কেউ থাকতে পারছে না। স্মার্টফোন যেন হয়ে উঠেছে মাল্টিটাস্কিং বা বহুমুখী কাজের একমাত্র পথ।
একই সঙ্গে এর মধ্যে আছে ডিকশনারি, ক্যালকুলেটর, ব্রাউজার, ই-মেইল, গেম, ক্যালেন্ডার, রেকর্ডার, ওয়েদার ফোরকাস্ট, জিপিএস, ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুক ইত্যাদি। বছর ত্রিশ আগের একটি আইবিএম কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী এই ছোট্ট গ্যাজেটটি।
এত কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে নিজেদের মারাত্বক ক্ষতি করে ফেলছি। মানুষের মস্তিষ্ক একসঙ্গে অনেক কাজের জন্য উপযুক্ত নয়। অনেক কাজ করার সময় আমাদের মস্তিষ্ক এক কাজ থেকে আরেক কাজে লাফিয়ে বেড়ায়।এর ফলে আমাদের কার্যক্ষমতা কমে আসছে।
শুধু তাই নয়, মাল্টিটাস্কিং করতে গিয়ে শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ বাড়ছে। এতে ধোঁয়াটে হয়ে পড়ছে আমাদের চিন্তাধারা। সহজেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের মনোযোগ।
ফোর্বস-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনবক্সে একটি ই-মেইল এসে বসে আছে, এটা জানার পর যদি অন্য একটি কাজে মন দেয়ার চেষ্টা করা হয় তবে আইকিউ কমে আসতে পারে ১০ পয়েন্ট পর্যন্ত। মাল্টিটাস্কিংয়ের ফলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ড্রাগ নেয়ার ফলে সৃষ্ট খতির সঙ্গে।
মাল্টিটাস্কিংয়ের সময় আমাদের ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ারও প্রবণতা দেখা যায়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অন্যের সঙ্গে কানেকটেড থাকতে গিয়ে যে আমরা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছি, এ ব্যাপারে খেয়াল করছি না কেউই। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক।
মানুষের জিনোমের ৩ বিলিয়ন বেস পেয়ারের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ প্রোটিন তৈরির কাজ করে। বাকি সব নন কোডিং ডিএনএর মধ্যে লুকিয়ে থাকে কিছু রেট্রোভাইরাস যা বিবর্তনের ধারায় চলে এসেছে আমাদের মধ্যে। এরা ব্রেন ফাংশনের জন্য হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ।
নিউজ লাইট ৭১