ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / 94

রাজধানীর ধানমন্ডির ইউল্যাব ইউনির্ভাসিটির ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সাউথইস্ট ইউনির্ভাসিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ সাদমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় ফুঁসলিয়ে এবং চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।  তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে আসামির এক দিনের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।

এর আগে এদিন ভিকটিমের বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইন এবং ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, পরিচয়ের সুবাধে ভিকটিম ও আসামির কথাবার্তা হয় এবং বিভিন্ন স্থানে তাদের দেখা হয়। গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ভিকটিম আসামি সাদমানের সঙ্গে উত্তরায় এক বন্ধুর বাসায় দেখা করেন। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে সাদমান ভিকটিমকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। ভিকটিম অচেতন থাকা অবস্থায় সাদমান তাকে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করেন। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামি ভিডিও দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে রাতে বাসায় রেখে দেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ভিকটিম আসামির বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় চলে আসেন।

আসামি ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তার বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ৮ নভেম্বর আসামি ভিকটিমকে তার বাসায় যেতে বলেন। ভিকটিম বাসায় যেতে রাজি না হওয়ায় সাদমান ওই ভিডিও গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে তাকে পাঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এবং তার সঙ্গে দেখা না করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ভিকটিম বাধ্য হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর সাদমানের বাসায় গেলে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে নিরুপায় হয়ে ভিকটিম ঘটনার বিষয়ে পরিবারকে জানায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সোমবার পর্নোগ্রাফি আইন এবং ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে ধর্ষণ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

রাজধানীর ধানমন্ডির ইউল্যাব ইউনির্ভাসিটির ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সাউথইস্ট ইউনির্ভাসিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ সাদমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান আসামির রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে শুনানি করেন।

তিনি বলেন, আসামি ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় ফুঁসলিয়ে এবং চেতনানাশক ওষুধ সেবন করিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।  তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নাকচ করে আসামির এক দিনের রিমান্ডের ওই আদেশ দেন।

এর আগে এদিন ভিকটিমের বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইন এবং ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, পরিচয়ের সুবাধে ভিকটিম ও আসামির কথাবার্তা হয় এবং বিভিন্ন স্থানে তাদের দেখা হয়। গত বছরের ৩০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ভিকটিম আসামি সাদমানের সঙ্গে উত্তরায় এক বন্ধুর বাসায় দেখা করেন। কথাবার্তা বলার একপর্যায়ে সাদমান ভিকটিমকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানোর পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। ভিকটিম অচেতন থাকা অবস্থায় সাদমান তাকে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে ভিডিও করেন। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে আসামি ভিডিও দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে রাতে বাসায় রেখে দেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ভিকটিম আসামির বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় চলে আসেন।

আসামি ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তার বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ৮ নভেম্বর আসামি ভিকটিমকে তার বাসায় যেতে বলেন। ভিকটিম বাসায় যেতে রাজি না হওয়ায় সাদমান ওই ভিডিও গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে তাকে পাঠিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এবং তার সঙ্গে দেখা না করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

ভিকটিম বাধ্য হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর সাদমানের বাসায় গেলে তাকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে নিরুপায় হয়ে ভিকটিম ঘটনার বিষয়ে পরিবারকে জানায়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সোমবার পর্নোগ্রাফি আইন এবং ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন।

নিউজ লাইট ৭১