ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসামির সঙ্গে আঁতাত প্রসিকিউটর তুরিন আউট

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯
  • / 136

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ইউনিট থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে অপসারণ করা হয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধ অপরাধীর সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগে তাকে অপসারণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ এবং ‘গুরুতর পেশাগত অসদাচরণ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
উপ-সলিসিটর এস এম নাহিদা নাজমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পেশাগত অসদাচরণ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ হতে অপসারণ করা হলো।

এর আগে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত করেন মতিউর রহমান। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে দায়িত্ব দেয়া হয় ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পরিচালনার। কিন্তু তুরিন আফরোজ ওই আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে জানিয়ে তাকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিনিময়ে ওয়াহিদুল হকের কাছে তুরিন মোটা অঙ্কের অর্থও দাবি করেন।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের দু’টি চিঠি, তার (তুরিন আফরোজ) সঙ্গে আসামির কথোপকথনের সিডিসহ যাবতীয় নথি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তুরিনকে অপসারণের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করেছি।

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। নিজ মা এবং ভাইকে পৈতৃক বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। ১৩ জুনের এ ঘটনায় চলতি বছর ২০ জুন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মা শামসুন নাহার তসলিম এবং ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির।

Tag :

শেয়ার করুন

আসামির সঙ্গে আঁতাত প্রসিকিউটর তুরিন আউট

আপডেট টাইম : ০৮:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ইউনিট থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে অপসারণ করা হয়েছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধ অপরাধীর সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগে তাকে অপসারণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ এবং ‘গুরুতর পেশাগত অসদাচরণ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
উপ-সলিসিটর এস এম নাহিদা নাজমীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও পেশাগত অসদাচরণ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ হতে অপসারণ করা হলো।

এর আগে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত করেন মতিউর রহমান। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে দায়িত্ব দেয়া হয় ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি পরিচালনার। কিন্তু তুরিন আফরোজ ওই আসামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ রয়েছে জানিয়ে তাকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিনিময়ে ওয়াহিদুল হকের কাছে তুরিন মোটা অঙ্কের অর্থও দাবি করেন।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের দু’টি চিঠি, তার (তুরিন আফরোজ) সঙ্গে আসামির কথোপকথনের সিডিসহ যাবতীয় নথি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তুরিনকে অপসারণের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করেছি।

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। নিজ মা এবং ভাইকে পৈতৃক বাড়ি থেকে বের করে দেন তিনি। ১৩ জুনের এ ঘটনায় চলতি বছর ২০ জুন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মা শামসুন নাহার তসলিম এবং ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির।