ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১
  • / 93

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে আবু বক্কর টাওয়ার নামের একটি ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আবু বক্কর টাওয়ারের ৫তলার ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগম উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরী কম বয়সী নারীদের এনে দেহ ব্যবসার এই হাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করলেও থেকে গেছে সবার আড়ালে। 

এসব ঘটনা এলাকাবাসী জানার পরও মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না। অপরদিকে এই নারীর দেহব্যবসার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন বিপদগামী। ফলে যুবকদের অভিভাবকরা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ফ্লাটের মালিক উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে আবু বক্কর। 

গত সোমবার রাতে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের লাল বাড়ি গ্রামের জালাল হোসেনের মেয়ে সাথি নামে এক নারীকে নিয়ে আসে তার ফ্লাটে। পরে ওই নারীকে খদ্দের হাতে তুলে দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর কালে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা সাংবাদিক হাজির হলে বাড়ির ম্যানেজার ও দেহব্যবসায়ীরা স্থানীয় ব্যক্তি ও সাংবাদিকের সামনে থেকে কৌশলে খদ্দেরদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। 

এ সময় অভিযুক্ত দেহ ব্যবসায়ি মুক্তা বেগম প্রথমে তার নাম নিপা বেগম বলে এবং খদ্দেরদের তার ভাই বলে। পরে সে বলে আমি এক উকিলের মুহুরি আমার কাছে তারা কাজ নিয়ে এসেছে এবং শেষে তার দেহ ব্যবসার কথা শিকার করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফ্লাটের মালিক আবু বক্কর সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকা অফার করে ও সংবাদটি বন্ধ রাখতে বলেন। 

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী গোড়াপিপাড়া গ্রামের বাবুল বলেন, আমি বাড়ির মালিক আবু বক্কর কে অনেকদিন জানিয়েছি তার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। কিন্তু সে এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দুদু মিয়া তালতলা খেয়া ঘাটে নৌকা বাইতো কিন্তু তার ছেলে আবু বক্কর এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার সব দুইনাম্বার টাকা। এই বাড়িতে এইসব কাজ আবু বক্করই করায়। তার এমন অপকর্মের প্রতিকার চায় স্থানীয়রা। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, আমি শুনেছি এমন ঘটনা এ ফ্লাটে ঘটে।

এ ব্যাপারে আবু বক্করের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো নিজে এই বাড়িতে থাকি না আর আমি এই ব্যবসার সাথে জরিত না। আমার এই বাড়ির দায়িত্বে আমার বড় বোন রয়েছে সেই এই বাড়ি দেখাশোনা করে।

এ ব্যাপারে সিরাজদীখান থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দীন বলেন, এ বিষয় কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:১৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে আবু বক্কর টাওয়ার নামের একটি ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত আবু বক্কর টাওয়ারের ৫তলার ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগম উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরী কম বয়সী নারীদের এনে দেহ ব্যবসার এই হাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করলেও থেকে গেছে সবার আড়ালে। 

এসব ঘটনা এলাকাবাসী জানার পরও মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না। অপরদিকে এই নারীর দেহব্যবসার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন বিপদগামী। ফলে যুবকদের অভিভাবকরা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ফ্লাটের মালিক উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে আবু বক্কর। 

গত সোমবার রাতে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের লাল বাড়ি গ্রামের জালাল হোসেনের মেয়ে সাথি নামে এক নারীকে নিয়ে আসে তার ফ্লাটে। পরে ওই নারীকে খদ্দের হাতে তুলে দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর কালে ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা সাংবাদিক হাজির হলে বাড়ির ম্যানেজার ও দেহব্যবসায়ীরা স্থানীয় ব্যক্তি ও সাংবাদিকের সামনে থেকে কৌশলে খদ্দেরদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। 

এ সময় অভিযুক্ত দেহ ব্যবসায়ি মুক্তা বেগম প্রথমে তার নাম নিপা বেগম বলে এবং খদ্দেরদের তার ভাই বলে। পরে সে বলে আমি এক উকিলের মুহুরি আমার কাছে তারা কাজ নিয়ে এসেছে এবং শেষে তার দেহ ব্যবসার কথা শিকার করে। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফ্লাটের মালিক আবু বক্কর সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকা অফার করে ও সংবাদটি বন্ধ রাখতে বলেন। 

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী গোড়াপিপাড়া গ্রামের বাবুল বলেন, আমি বাড়ির মালিক আবু বক্কর কে অনেকদিন জানিয়েছি তার বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। কিন্তু সে এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দুদু মিয়া তালতলা খেয়া ঘাটে নৌকা বাইতো কিন্তু তার ছেলে আবু বক্কর এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার সব দুইনাম্বার টাকা। এই বাড়িতে এইসব কাজ আবু বক্করই করায়। তার এমন অপকর্মের প্রতিকার চায় স্থানীয়রা। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, আমি শুনেছি এমন ঘটনা এ ফ্লাটে ঘটে।

এ ব্যাপারে আবু বক্করের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো নিজে এই বাড়িতে থাকি না আর আমি এই ব্যবসার সাথে জরিত না। আমার এই বাড়ির দায়িত্বে আমার বড় বোন রয়েছে সেই এই বাড়ি দেখাশোনা করে।

এ ব্যাপারে সিরাজদীখান থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দীন বলেন, এ বিষয় কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১