ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন স্বর্ণা রহমান

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / 79

করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বকে এখনও থামিয়ে রেখেছেন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। তবে সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা লেগে আছেন এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে। এর মধ্যে ইতালিদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতালিতে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন স্বর্ণা রহমান (২৭)। গত বৃহস্পতিবার ভেনিসের মনফালকোনের একটি হাসপাতালে এই টিকা নেন তিনি।

দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মনফালকোনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন স্বর্ণা। ২০০৪ সালে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া শেষ করে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে যান। 
পরে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ‘সান পাওলো মনফালকোন’ হাসপাতালে একজন সেবিকা হিসেবে কাজ করছেন।

স্বর্ণার বাবা আজিজুর রহমান ও মা মাহফুজা রহমান দম্পতির প্রথম কন্যা স্বর্ণা রহমান। ঢাকার কেরানীগঞ্জের দোহারে তার গ্রামের বাড়ি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিসিন বিভাগের অনুমতি নিয়ে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ শুরু করে ইতালি। প্রথম ধাপে দেশটির মোট ৯ হাজার ৭৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও  বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয় এই টিকা।

এছাড়া নতুন বছরের প্রথমদিকে আরো প্রায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষের শরীরে এই টিকা প্রয়োগের কথা রয়েছে।  এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোনো বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় টিকা নেন স্বর্ণা।

টিকাগ্রহণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় স্বর্ণা বলেন, প্রথম  বাংলাদেশি হিসেবে ইতালিতে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়াটা আমার জন্য খুব গর্বের। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন স্বর্ণা রহমান

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

করোনা মহামারিতে সারা বিশ্বকে এখনও থামিয়ে রেখেছেন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। তবে সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা লেগে আছেন এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে। এর মধ্যে ইতালিদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতালিতে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন স্বর্ণা রহমান (২৭)। গত বৃহস্পতিবার ভেনিসের মনফালকোনের একটি হাসপাতালে এই টিকা নেন তিনি।

দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মনফালকোনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন স্বর্ণা। ২০০৪ সালে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া শেষ করে পরিবারের সঙ্গে ইতালিতে যান। 
পরে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। বর্তমানে তিনি ‘সান পাওলো মনফালকোন’ হাসপাতালে একজন সেবিকা হিসেবে কাজ করছেন।

স্বর্ণার বাবা আজিজুর রহমান ও মা মাহফুজা রহমান দম্পতির প্রথম কন্যা স্বর্ণা রহমান। ঢাকার কেরানীগঞ্জের দোহারে তার গ্রামের বাড়ি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিসিন বিভাগের অনুমতি নিয়ে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ শুরু করে ইতালি। প্রথম ধাপে দেশটির মোট ৯ হাজার ৭৫০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও  বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয় এই টিকা।

এছাড়া নতুন বছরের প্রথমদিকে আরো প্রায় ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষের শরীরে এই টিকা প্রয়োগের কথা রয়েছে।  এরই মধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোনো বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় টিকা নেন স্বর্ণা।

টিকাগ্রহণ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় স্বর্ণা বলেন, প্রথম  বাংলাদেশি হিসেবে ইতালিতে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়াটা আমার জন্য খুব গর্বের। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।

নিউজ লাইট ৭১