ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন তো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক?

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 77

কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে অপারেশন সফল হয়ে দেশে ফিরেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। বর্তমানে সুস্থ্য আছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন, অন্তত এক মাসের বিশ্রামে থাকতে। তখনই এসেছিল প্রশ্ন, এক মাস বিশ্রামে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন তো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক?

এমন কৌতূহলী প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সমস্যা নেই। মুমিনুল হক তো একদম ‘বেড রেস্টে’ থাকবেন না। ব্যাটিং, ফিল্ডিং করতে না পারলেও, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো রানিং ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে পারবেন।

আর তা করতে পারলে তো আর কোন সমস্যা থাকবে না। টেস্টের সপ্তাহখানেক আগে ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়ে মাঠে নামা সম্ভব হবে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের বলা কথা ধরেই সবাই ভেবেছিলেন, সপ্তাহ দুই বা তিনেক পর হয়তো সত্যিই রানিং ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করবেন মুুমিনুল।

কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুবাইয়ে অস্ত্রোপচারের তিনদিন পর ১৩ ডিসেম্বর সকালে দেশে ফেরেন মুমিনুল। আজ (২৭ ডিসেম্বর) দুই সপ্তাহ পূরণ হলো। রানিং বা ফিজিক্যাল ট্রেনিং বহুদূরে, এখনও ঘরের বাইরেই বের হননি বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। আজ দুপুরে সঙ্গে আলাপে মুুমিনুল নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য।

অপারেশনের পর ১৬-১৭ দিন কেটে গেল। আর দেশে ফেরার পর আজ দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। কেমন আছেন? কবে নাগাদ ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘এখন তো নয়ই, আরও দুই সপ্তাহ পরও কোনরকম ফিজিক্যাল ট্রেনিং করা সম্ভব না। এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগে আসলে কিছুই করা যাবে না। এক মাস পর রানিং তথা যেকোন ট্রেনিং করতে পারব।’

সেটা কেন? কী কারণে? মুমিনুলের জবাব, ‘চিকিৎসকদের পরিষ্কার নির্দেশ আছে, এক মাস পূরণ হওয়ার আগে এমন কোন শারীরিক ট্রেনিং করা যাবে না, যা করলে শরীর ঘেমে যায় মানে ঐ অপারেশনের জায়গায় ঘাম স্পর্শ করে। অপারেশনের আঙুলে ঘাম বা যেকোনও পানি লাগলে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকবে। তাই এক মাস হওয়ার আগে সবরকম ফিজিক্যাল ট্রেনিং থেকে বিরত থাকতে হবে।’

এমনিতে আঙুলের অবস্থা কী? কবে নাগাদ মাঠে ফেরার আশা করছেন? মুমিনুলের মুখে ইতিবাচক সংলাপ, ‘এমনিতে আঙুলের অবস্থা ভাল। এখন অপারেশন করা আঙুল নাড়াতে পারছি। তবে আমার ডান হাতের বুড়ো আঙুলের ঠিক যেখানটায় অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই জায়গাটা ভাজ করতে আরও এক সপ্তাহ। সেই জায়গাটা তিন সপ্তাহ পর ভাজ করার কথা বলা আছে।’

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় দুই টেস্টের সিরিজ খেলা প্রসঙ্গে আশাবাদী মুমিনুল, ‘আমি আশাবাদী। এখনও এক মাসের বেশি (৫ সপ্তাহ) সময় আছে। আশা করছি খেলতে পারব। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, বলা উচিতও হবে না।’

মুমিনুলের শেষ কথা, ‘আসলে ব্যাটিং না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না, খেলার মত অবস্থা হয়েছে কি না। আমি যেদিন প্রথম ব্যাটিং অনুশীলন করব, সেদিনের পরই বলা যাবে প্রকৃত অবস্থা আসলে কী? তার আগে ঠিক বোঝার ও বলার উপায় নেই আঙুলের সত্যিকার অবস্থা কেমন ও খেলার অবস্থা আছে কি না?’

দিনক্ষণের হিসেব কষতে গেলে বলতে হবে, আরও অন্তত সপ্তাহ তিনেক পর হয়তো ব্যাট হাতে নিতে পারবেন মুমিনুল। তার মানে জানুয়ারির ২০-২২ তারিখ নাগাদ ব্যাট হাতে নেয়ার অবস্থা হবে তার। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। ফলে মুমিনুলের সামনে সময় থাকবে দু সপ্তাহ। সেক্ষেত্রে মুমিনুলের টেস্ট সিরিজ খেলা নিয়ে সংশয়ের কারণ খুব একটা নেই।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন তো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক?

আপডেট টাইম : ০৬:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে অপারেশন সফল হয়ে দেশে ফিরেছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। বর্তমানে সুস্থ্য আছেন তিনি। তবে চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন, অন্তত এক মাসের বিশ্রামে থাকতে। তখনই এসেছিল প্রশ্ন, এক মাস বিশ্রামে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পারবেন তো টাইগার টেস্ট অধিনায়ক?

এমন কৌতূহলী প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, সমস্যা নেই। মুমিনুল হক তো একদম ‘বেড রেস্টে’ থাকবেন না। ব্যাটিং, ফিল্ডিং করতে না পারলেও, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়তো রানিং ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে পারবেন।

আর তা করতে পারলে তো আর কোন সমস্যা থাকবে না। টেস্টের সপ্তাহখানেক আগে ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়ে মাঠে নামা সম্ভব হবে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসকের বলা কথা ধরেই সবাই ভেবেছিলেন, সপ্তাহ দুই বা তিনেক পর হয়তো সত্যিই রানিং ও ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করবেন মুুমিনুল।

কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুবাইয়ে অস্ত্রোপচারের তিনদিন পর ১৩ ডিসেম্বর সকালে দেশে ফেরেন মুমিনুল। আজ (২৭ ডিসেম্বর) দুই সপ্তাহ পূরণ হলো। রানিং বা ফিজিক্যাল ট্রেনিং বহুদূরে, এখনও ঘরের বাইরেই বের হননি বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। আজ দুপুরে সঙ্গে আলাপে মুুমিনুল নিজেই জানিয়েছেন এ তথ্য।

অপারেশনের পর ১৬-১৭ দিন কেটে গেল। আর দেশে ফেরার পর আজ দুই সপ্তাহ হয়ে গেল। কেমন আছেন? কবে নাগাদ ফিজিক্যাল ট্রেনিং শুরু করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, ‘এখন তো নয়ই, আরও দুই সপ্তাহ পরও কোনরকম ফিজিক্যাল ট্রেনিং করা সম্ভব না। এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগে আসলে কিছুই করা যাবে না। এক মাস পর রানিং তথা যেকোন ট্রেনিং করতে পারব।’

সেটা কেন? কী কারণে? মুমিনুলের জবাব, ‘চিকিৎসকদের পরিষ্কার নির্দেশ আছে, এক মাস পূরণ হওয়ার আগে এমন কোন শারীরিক ট্রেনিং করা যাবে না, যা করলে শরীর ঘেমে যায় মানে ঐ অপারেশনের জায়গায় ঘাম স্পর্শ করে। অপারেশনের আঙুলে ঘাম বা যেকোনও পানি লাগলে ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকবে। তাই এক মাস হওয়ার আগে সবরকম ফিজিক্যাল ট্রেনিং থেকে বিরত থাকতে হবে।’

এমনিতে আঙুলের অবস্থা কী? কবে নাগাদ মাঠে ফেরার আশা করছেন? মুমিনুলের মুখে ইতিবাচক সংলাপ, ‘এমনিতে আঙুলের অবস্থা ভাল। এখন অপারেশন করা আঙুল নাড়াতে পারছি। তবে আমার ডান হাতের বুড়ো আঙুলের ঠিক যেখানটায় অস্ত্রোপচার হয়েছে, সেই জায়গাটা ভাজ করতে আরও এক সপ্তাহ। সেই জায়গাটা তিন সপ্তাহ পর ভাজ করার কথা বলা আছে।’

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় দুই টেস্টের সিরিজ খেলা প্রসঙ্গে আশাবাদী মুমিনুল, ‘আমি আশাবাদী। এখনও এক মাসের বেশি (৫ সপ্তাহ) সময় আছে। আশা করছি খেলতে পারব। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, বলা উচিতও হবে না।’

মুমিনুলের শেষ কথা, ‘আসলে ব্যাটিং না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না, খেলার মত অবস্থা হয়েছে কি না। আমি যেদিন প্রথম ব্যাটিং অনুশীলন করব, সেদিনের পরই বলা যাবে প্রকৃত অবস্থা আসলে কী? তার আগে ঠিক বোঝার ও বলার উপায় নেই আঙুলের সত্যিকার অবস্থা কেমন ও খেলার অবস্থা আছে কি না?’

দিনক্ষণের হিসেব কষতে গেলে বলতে হবে, আরও অন্তত সপ্তাহ তিনেক পর হয়তো ব্যাট হাতে নিতে পারবেন মুমিনুল। তার মানে জানুয়ারির ২০-২২ তারিখ নাগাদ ব্যাট হাতে নেয়ার অবস্থা হবে তার। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। ফলে মুমিনুলের সামনে সময় থাকবে দু সপ্তাহ। সেক্ষেত্রে মুমিনুলের টেস্ট সিরিজ খেলা নিয়ে সংশয়ের কারণ খুব একটা নেই।

নিউজ লাইট ৭১