ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাকাশ জুড়ে ঘটে চলেছে একের পর এক বিষ্ময়কর ঘটনা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 81

মহাকাশ জুড়ে ঘটে চলেছে একের পর এক বিষ্ময়কর ঘটনা। যা শিহরণ জাগিয়ে দিয়েছে আমাদের সকলের মনে। ঠিক যেমন চলতি ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ এক অদ্ভুত মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষজন। কারণ, এদিন রাতের আকাশে দেখা যাবে বর্ণময় আলোর ছটা। এক কথায় যাকে বলে উল্কা বৃষ্টি বা উল্কা ঝরণা।

১৪ ডিসেম্বর রাতের উল্কা ঝরণা গোটা বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষই চাক্ষুস করতে পারবেন। যদিতাঁরা সেই পর্যন্ত রাত জাগতে পারেন। কারণ, রাত সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা থেকে শুরু হলেও এই উল্কা ঝরণা ভালো দেখা যাবে মধ্য রাতে। অর্থাৎ রাত দেড়টা দুইটার দিকে। শুধু তাই নয়, মেঘমুক্ত আকাশে কোনও রকম দূরবীন ছাড়াই খালি চোখে দেখা যাবে এ দৃশ্য। এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটেনে গ্রেনিচের মানমন্দির, রয়াল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্যাট্রিশিয়া স্কেলটন বলেছেন, ‘ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধুলিকণায় ভরা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তখনই সাধারণত উল্কা বৃষ্টি ঘটে থাকে।’

‘কিন্তু জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টিপাত ভিন্ন ধরনের। জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টি হয় যখন ৩২০০-ফিটন নামে একটি গ্রহাণুর ছেড়ে যাওয়া ধুলিকণার আস্তরের মধ্যে দিয়ে পৃথিবী যায়।’

অর্থাৎ প্রতি বছর, আমাদের এই পৃথিবী গ্রহ তার কক্ষপথে ঘোরার সময় যখনই মহাজগতে গ্রহাণু বা ধূমকেতুর ছেড়ে যাওয়া নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখনই আমরা রাতের আকাশে নানাধরনের চোখ ধাঁধাঁনো আলোর ছটা দেখতে পাই। যাকে এক কথায় উল্কা ঝরণা বলা হয়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

মহাকাশ জুড়ে ঘটে চলেছে একের পর এক বিষ্ময়কর ঘটনা

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

মহাকাশ জুড়ে ঘটে চলেছে একের পর এক বিষ্ময়কর ঘটনা। যা শিহরণ জাগিয়ে দিয়েছে আমাদের সকলের মনে। ঠিক যেমন চলতি ডিসেম্বর মাসের ১৪ তারিখ এক অদ্ভুত মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষজন। কারণ, এদিন রাতের আকাশে দেখা যাবে বর্ণময় আলোর ছটা। এক কথায় যাকে বলে উল্কা বৃষ্টি বা উল্কা ঝরণা।

১৪ ডিসেম্বর রাতের উল্কা ঝরণা গোটা বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষই চাক্ষুস করতে পারবেন। যদিতাঁরা সেই পর্যন্ত রাত জাগতে পারেন। কারণ, রাত সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা থেকে শুরু হলেও এই উল্কা ঝরণা ভালো দেখা যাবে মধ্য রাতে। অর্থাৎ রাত দেড়টা দুইটার দিকে। শুধু তাই নয়, মেঘমুক্ত আকাশে কোনও রকম দূরবীন ছাড়াই খালি চোখে দেখা যাবে এ দৃশ্য। এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

ব্রিটেনে গ্রেনিচের মানমন্দির, রয়াল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্যাট্রিশিয়া স্কেলটন বলেছেন, ‘ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধুলিকণায় ভরা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তখনই সাধারণত উল্কা বৃষ্টি ঘটে থাকে।’

‘কিন্তু জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টিপাত ভিন্ন ধরনের। জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টি হয় যখন ৩২০০-ফিটন নামে একটি গ্রহাণুর ছেড়ে যাওয়া ধুলিকণার আস্তরের মধ্যে দিয়ে পৃথিবী যায়।’

অর্থাৎ প্রতি বছর, আমাদের এই পৃথিবী গ্রহ তার কক্ষপথে ঘোরার সময় যখনই মহাজগতে গ্রহাণু বা ধূমকেতুর ছেড়ে যাওয়া নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখনই আমরা রাতের আকাশে নানাধরনের চোখ ধাঁধাঁনো আলোর ছটা দেখতে পাই। যাকে এক কথায় উল্কা ঝরণা বলা হয়।

নিউজ লাইট ৭১