ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৪১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 83

রাজধানীর বাড্ডা থেকে আটক মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রসহ তিন মামলায় মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত জামিন শুনানি জন্য আজ দিন ধার্য করেন। 

এদিন নয় দিনের রিমান্ড শেষে আসামি গোল্ডেন মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। এ সময় গোল্ডেন মনিরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিন শুনানির জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

গত ২০ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় দশটি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মনিরের তিন মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকার অতিরক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুবকর ছিদ্দিক বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি ২৯ ডিসেম্বর ও অস্ত্র আইনে মামলাটি ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি ঢাকা মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান আগামী ২১ ডিসেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল নির্দেশ দেন।

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  ২০১২ সালের ১৩ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা দায়ের করে। 

এর আগে সম্পদের হিসাব চেয়ে মনিরকে নোটিশ দেয় দুদক।  কিন্তু মনির দুদকের সেই নোটিশ পেয়ে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দেন। পরে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট মামলার কারণে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। 

এছাড়া ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার দায়ে দায়ের করা একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ

আপডেট টাইম : ০৩:৪১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

রাজধানীর বাড্ডা থেকে আটক মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রসহ তিন মামলায় মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত জামিন শুনানি জন্য আজ দিন ধার্য করেন। 

এদিন নয় দিনের রিমান্ড শেষে আসামি গোল্ডেন মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। এ সময় গোল্ডেন মনিরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিন শুনানির জন্য ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

গত ২০ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে মনিরের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় দশটি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মনিরের তিন মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছালে ঢাকার অতিরক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুবকর ছিদ্দিক বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি ২৯ ডিসেম্বর ও অস্ত্র আইনে মামলাটি ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি ঢাকা মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান আগামী ২১ ডিসেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল নির্দেশ দেন।

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  ২০১২ সালের ১৩ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা দায়ের করে। 

এর আগে সম্পদের হিসাব চেয়ে মনিরকে নোটিশ দেয় দুদক।  কিন্তু মনির দুদকের সেই নোটিশ পেয়ে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দেন। পরে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি রিট মামলার কারণে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। 

এছাড়া ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার দায়ে দায়ের করা একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

নিউজ লাইট ৭১