ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় নতুন দুই মেট্রোরেল নির্মাণ: ২৫ হাজার কোটি টাকাই অনুদান দিচ্ছে সরকার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:২১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯
  • / 95

নতুন দুটি মেট্রোরেল নির্মাণে সরকারের প্রতিশ্রুত ২৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমসিএলকে আর পরিশোধ করতে হবে না। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (এমআরটি লাইন-১) এবং হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা (এমআরটি লাইন-৫) রুট নির্মাণে সরকারের অংশটি অনুদান হিসেবেই পাচ্ছে ডিএমসিএল।

এর মধ্য দিয়ে লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে সরকারি তহবিল অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডিএমসিএল যে নীতিগত সমস্যায় পড়েছিল তার অবসান হল। এছাড়া ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় বিপাকেও পড়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু এক্ষেত্রে জনস্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের ২৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা অনুদান হিসেবেই ধরা হচ্ছে। গত ১৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন সিদ্ধান্তই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ অক্টোবর জারি করা ওই সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে- ডিএমসিএল লিমিটেড কোম্পানি হলেও এটি একটি সেবাধর্মী কোম্পানি। কাজেই যাত্রার শুরুতে সরকারের সহায়তা পেলে এটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। এছাড়া এমআরটি লাইন-৬ (নির্মাণাধীন উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল) প্রকল্পেও সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবেই দেয়া হয়েছিল। কাজেই একই উদ্দেশ্যে এমআরটি লাইন-১ ও এমআরটি লাইন-৫ এর জন্যও সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া মেট্রোরেল দুটির নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখা এবং নিয়মিত তদারকি করাসহ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্দেশনা দেন সেগুলোই আমরা কার্যবিবরণী আকারে তৈরি করি। তবে এ দুটি মেট্রোরেলের বিষয়ে জিওবি (সরকারি তহবিল) অর্থায়নের তিনি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটি-ই চূড়ান্ত। এর ব্যত্যয়ের অবকাশ নেই।

সূত্র জানায়, একনেকে উপস্থাপিত দুই প্রকল্পের একটি হচ্ছে- বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১। অপরটি হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার-গাবতলী-মিরপুর-১, মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২-নতুনবাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট। ব্যয় ধরা হয় ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঋণ হিসেবে দেবে ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বাকি ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ১১ লাখ টাকার জোগান দেবে সরকার।

বৈঠকে অংশ নেয়া বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনছুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেছেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পটি যখন গৃহীত হয়, তখন ডিএমসিএল গঠিত হয়নি। কাজেই ওই পর্যায়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল না। কিন্তু ডিএমসিএল লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় এর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে জিওবি অর্থায়ন অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নীতিগত সমস্যা আছে। তবে বিদ্যমান অবস্থায় ডিএমসিএলকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেয়া দরকার। এমন দৃষ্টান্তও আছে। ফলে এ দুই প্রকল্পে সরকারি অর্থের কিছু ঋণ এবং কিছু সম্পদ হিসেবে না দেখিয়ে পুরোটাই সম্পদ হিসেবে দেখানো যেতে পারে।

আগের সভায় ডিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছিলেন, প্রকল্পের অর্থায়নে জিওবি অংশ অনুদান হিসেবে দেখানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ জানিয়েছিল ডিএমসিএল কোম্পানি আইনে পরিচালিত হওয়ায় এ দুই প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নের ৪০ ভাগ সম্পদ এবং ৬০ ভাগ ঋণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে।

তিনি জানান, ইতিমধ্যেই জাইকার সঙ্গে সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) সই হয়েছে। জাইকা থেকে গ্রহণ করা ঋণের শর্ত অনুযায়ী ঋণের সমুদয় অর্থ ডিএমসিএলকে পরিশোধ করতে হবে। ডিএমসিএল শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। কোম্পানির যাত্রার শুরুতে সরকারের সহায়তা না পেলে স্বাবলম্বী হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা আছে। এজন্যই তিনি প্রকল্পেই জিওবি অংশ অনুদান হিসেবে দেয়ার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী অনুদানের এ নির্দেশ দিয়েছেন।এমআরটি লাইন-১ রুটটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা এবং জাইকার ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এ বছর শুরু হয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের টার্গেট আছে। ৩১ দশমিক ২৪ কিমি. দীর্ঘ এ রুটে ১৯ দশমিক ৮৭ কিমি. থাকবে মাটির নিচে এবং বাকিটা হবে এলিভেটেড। স্টেশনের মধ্যে ১২টি মাটির নিচে এবং ৭টি উপরে। এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ১২ হাজার ১২১ কোটি এবং জাইকার ঋণ ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এ বছর শুরু হয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের টার্গেট। ২০ কিলোমিটারের এ মেট্রোরেলের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল এবং বাকিটা এলিভেটেড। ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ৯টি মাটির নিচে, বাকিটা উপরে।

Tag :

শেয়ার করুন

ঢাকায় নতুন দুই মেট্রোরেল নির্মাণ: ২৫ হাজার কোটি টাকাই অনুদান দিচ্ছে সরকার

আপডেট টাইম : ১২:২১:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯

নতুন দুটি মেট্রোরেল নির্মাণে সরকারের প্রতিশ্রুত ২৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমসিএলকে আর পরিশোধ করতে হবে না। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (এমআরটি লাইন-১) এবং হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা (এমআরটি লাইন-৫) রুট নির্মাণে সরকারের অংশটি অনুদান হিসেবেই পাচ্ছে ডিএমসিএল।

এর মধ্য দিয়ে লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে সরকারি তহবিল অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডিএমসিএল যে নীতিগত সমস্যায় পড়েছিল তার অবসান হল। এছাড়া ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় বিপাকেও পড়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু এক্ষেত্রে জনস্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের ২৫ হাজার ২৩২ কোটি টাকা অনুদান হিসেবেই ধরা হচ্ছে। গত ১৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন সিদ্ধান্তই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ অক্টোবর জারি করা ওই সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে- ডিএমসিএল লিমিটেড কোম্পানি হলেও এটি একটি সেবাধর্মী কোম্পানি। কাজেই যাত্রার শুরুতে সরকারের সহায়তা পেলে এটি স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। এছাড়া এমআরটি লাইন-৬ (নির্মাণাধীন উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল) প্রকল্পেও সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবেই দেয়া হয়েছিল। কাজেই একই উদ্দেশ্যে এমআরটি লাইন-১ ও এমআরটি লাইন-৫ এর জন্যও সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া মেট্রোরেল দুটির নির্মাণ কাজের গুণগত মান বজায় রাখা এবং নিয়মিত তদারকি করাসহ প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যেসব নির্দেশনা দেন সেগুলোই আমরা কার্যবিবরণী আকারে তৈরি করি। তবে এ দুটি মেট্রোরেলের বিষয়ে জিওবি (সরকারি তহবিল) অর্থায়নের তিনি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেটি-ই চূড়ান্ত। এর ব্যত্যয়ের অবকাশ নেই।

সূত্র জানায়, একনেকে উপস্থাপিত দুই প্রকল্পের একটি হচ্ছে- বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন এবং নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১। অপরটি হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার-গাবতলী-মিরপুর-১, মিরপুর-১০-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২-নতুনবাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট। ব্যয় ধরা হয় ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ঋণ হিসেবে দেবে ৬৮ হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বাকি ২৫ হাজার ২৩২ কোটি ১১ লাখ টাকার জোগান দেবে সরকার।

বৈঠকে অংশ নেয়া বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনছুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেছেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পটি যখন গৃহীত হয়, তখন ডিএমসিএল গঠিত হয়নি। কাজেই ওই পর্যায়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে সরকারি অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল না। কিন্তু ডিএমসিএল লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় এর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে জিওবি অর্থায়ন অনুদান হিসেবে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নীতিগত সমস্যা আছে। তবে বিদ্যমান অবস্থায় ডিএমসিএলকে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দেয়া দরকার। এমন দৃষ্টান্তও আছে। ফলে এ দুই প্রকল্পে সরকারি অর্থের কিছু ঋণ এবং কিছু সম্পদ হিসেবে না দেখিয়ে পুরোটাই সম্পদ হিসেবে দেখানো যেতে পারে।

আগের সভায় ডিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছিলেন, প্রকল্পের অর্থায়নে জিওবি অংশ অনুদান হিসেবে দেখানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ জানিয়েছিল ডিএমসিএল কোম্পানি আইনে পরিচালিত হওয়ায় এ দুই প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নের ৪০ ভাগ সম্পদ এবং ৬০ ভাগ ঋণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে।

তিনি জানান, ইতিমধ্যেই জাইকার সঙ্গে সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) সই হয়েছে। জাইকা থেকে গ্রহণ করা ঋণের শর্ত অনুযায়ী ঋণের সমুদয় অর্থ ডিএমসিএলকে পরিশোধ করতে হবে। ডিএমসিএল শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি। কোম্পানির যাত্রার শুরুতে সরকারের সহায়তা না পেলে স্বাবলম্বী হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা আছে। এজন্যই তিনি প্রকল্পেই জিওবি অংশ অনুদান হিসেবে দেয়ার অনুরোধ জানান। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী অনুদানের এ নির্দেশ দিয়েছেন।এমআরটি লাইন-১ রুটটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা এবং জাইকার ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এ বছর শুরু হয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের টার্গেট আছে। ৩১ দশমিক ২৪ কিমি. দীর্ঘ এ রুটে ১৯ দশমিক ৮৭ কিমি. থাকবে মাটির নিচে এবং বাকিটা হবে এলিভেটেড। স্টেশনের মধ্যে ১২টি মাটির নিচে এবং ৭টি উপরে। এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল ১২ হাজার ১২১ কোটি এবং জাইকার ঋণ ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এ বছর শুরু হয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের টার্গেট। ২০ কিলোমিটারের এ মেট্রোরেলের সাড়ে ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল এবং বাকিটা এলিভেটেড। ১৪টি স্টেশনের মধ্যে ৯টি মাটির নিচে, বাকিটা উপরে।