শাস্তি কমাতে উপায় খুঁজছে বিসিবি
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯
- / 121
সাকিব আল হাসানের শাস্তি হয়েছে দুই বছর। যার মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। প্রথম বছরে আইসিসির আকসুর বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে চললে এক বছর পরই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। শাস্তি ভোগ করতে অভিযোগ মেনে নিয়েছেন সাকিব। এমনকি শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলেও আইসিসিকে কথা দিয়ে রেখেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে সাকিবের শাস্তি কমার সম্ভাবনা খুবই কম। শাস্তি কমানোর চেষ্টা করেও খুব একটা লাভ হবে না। তার পরও বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের শাস্তি কমানোর চেষ্টা চালাবে বিসিবি। পুরো বিষয়টার আইনি দিক খুঁজে দেখছে বিসিবি। ইতিমধ্যে নিজেদের আইনি বিভাগের সঙ্গে কথাও বলেছে বিসিবি। গতকাল সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
মিরপুর স্টেডিয়ামে বিসিবির এই কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, ‘দেখুন এই বিষয়ে বিসিবির করণীয় খুবই সীমিত। যেহেতু সাকিব এই বিষয়টি স্বীকার করে একটি চুক্তির মধ্যে চলে গিয়েছে। তারপরেও আমরা দেখব। আইনি বিষয়গুলো নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের আইনি বিভাগের সঙ্গে কথা বলছি। এই বিষয়ে কোনো সুযোগ আছে কিনা, সেটা আমরা খুঁজে বের করব।’ বোর্ডে আলোচনা সাপেক্ষেই মূল পদক্ষেপ নিবে বিসিবি।
গতকাল নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে এই বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। আগে আগে হয়ে যাবে মন্তব্য। মাত্র দুই দিন হলো এই বিষয়ে আমরা একটি সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি। এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়গুলো নিয়ে বোর্ডে আলোচনা করতে হবে। কতটুকু করা যায় বা কতটুকু করার সুযোগ রয়েছে এটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে বোর্ড সভায়। যেহেতু এটা আইনি প্রক্রিয়া। এটা জেনে তারপরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
দুই ফরম্যাটেই অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। তিনি ছিটকে পড়ায় নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হয়েছে বিসিবিকে। টেস্টে মুমিনুল হক ও টি-২০ তে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদি তারা দায়িত্ব পেয়েছেন শুধু ভারত সফরের জন্য। মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুলকে লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা স্পষ্ট করেনি বিসিবি। গতকাল প্রধান নির্বাহীও জানালেন, বোর্ডে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেছেন, ‘দেখেন, সাকিব আমাদের টেস্ট এবং টি-২০ অধিনায়ক ছিল। আমাদের সামনে ভারত সফর আছে, দল চলেও গিয়েছে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত আলোচনার দরকার ছিল। পরবর্তীতে এটা বোর্ডে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনবার জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের প্রস্তাব পেয়ে আকসুকে অবহিত করেননি সাকিব। তিনটি ম্যাচে প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। এতকিছুর পরও বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার কাউকে কেন জানাননি, সেটি এখন পর্যন্ত রহস্যই থেকে যাচ্ছে।