ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুবর্ণ মোস্তফা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 88

মাত্র ৬ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে বেতার নাটকে কাজের সুচনা হয়। এরপর নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন  সময়ে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করে গেছেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। 

কখনও মুনা, কখনও রুনু, কখনও বা মীরা হয়ে দর্শকদের মন জয় করে গেছেন সুবর্ণ মোস্তফা। ধীরে ধীরে আশির দশকের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।  

সেই সময় আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে সুবর্ণা মোস্তফার জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। নব্বই দশকে বরেণ্য কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‌‘আজ রবিবার’ নামে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। যে চরিত্রগুলো এখনো দর্শক মনে গেঁথে আছে।     

‘ঘুড্ডি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন এই গুণী অভিনেত্রী। ‘নয়নের আলো, ‘পালাবি কোথায়, ‘গহীন বালুচর ইত্যাদি সুবর্ণা মোস্তফা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা। 
১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত করেছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুবর্ণ মোস্তফা। টিভির পর্দায় এখনো তার মিষ্টি হাসি দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুবর্ণ মোস্তফা

আপডেট টাইম : ০১:৫১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

মাত্র ৬ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে বেতার নাটকে কাজের সুচনা হয়। এরপর নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন  সময়ে প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করে গেছেন তিনি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। 

কখনও মুনা, কখনও রুনু, কখনও বা মীরা হয়ে দর্শকদের মন জয় করে গেছেন সুবর্ণ মোস্তফা। ধীরে ধীরে আশির দশকের বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।  

সেই সময় আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে সুবর্ণা মোস্তফার জুটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। নব্বই দশকে বরেণ্য কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ‌‘আজ রবিবার’ নামে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন তিনি। যে চরিত্রগুলো এখনো দর্শক মনে গেঁথে আছে।     

‘ঘুড্ডি’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন এই গুণী অভিনেত্রী। ‘নয়নের আলো, ‘পালাবি কোথায়, ‘গহীন বালুচর ইত্যাদি সুবর্ণা মোস্তফা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা। 
১৯৮৩ সালে ‘নতুন বউ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকেও ভূষিত করেছেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের আঙিনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন সুবর্ণ মোস্তফা। টিভির পর্দায় এখনো তার মিষ্টি হাসি দর্শক হৃদয়ে দাগ কেটে যায়।

নিউজ লাইট ৭১