মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত যেকোনো অপরাধ সমাজবিরোধী
- আপডেট টাইম : ০৬:০২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
- / 93
মাদক মামলায় প্রবেশনে থাকা আসামিকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর ডোপ টেস্ট করতে হবে। এ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ হলে তার প্রবেশনে থাকার আদেশ বাতিল করে কারাগারে পাঠাতে বলেছে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি প্রবেশনে থাকা আসামি চিকিৎসক ব্যতীত কোনো মাদকদ্রব্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মেও রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
মাদক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে প্রবেশনে পাঠানোর পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত যেকোনো অপরাধ সমাজবিরোধী। এটা জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই; সময় এসেছে এ ধরনের অপরাধকে এখন কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বিচারপতি জাফর আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ‘মতি মাতবর বনাম রাষ্ট্র’ মামলায় এমন নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ পেয়েছে।
ওই রায়ে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর দ্রুত আসামিকে ডোপ টেস্ট করতে হবে। ডোপ টেস্টে আসামির মাদক গ্রহণের সংশ্লিষ্টতা মিললে প্রবেশন আদেশ বাতিল করতে পারবে।
এছাড়া প্রয়োজনে আরো শর্ত আরোপ করে আসামিকে প্রবেশন অফিসারের অধীনে পর্যবেক্ষণে রাখার আদেশ দিতে পারবে নিম্ন আদালত। প্রবেশনে থাকাকালীন আসামি কোনো শর্ত ভঙ্গের অপরাধে তাকে কারাগারে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।
এদিকে উচ্চ আদালতের পাশাপাশি নিম্ন আদালতের বিচারকরাও বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত আসামিকে প্রবেশনে পাঠানোর আদেশ দিচ্ছেন। দি প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০ এর বিধান অনুযায়ী আদালত এই আদেশ প্রদান করছে।
এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবেশনে থাকা আসামিরা আদালতের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করছে কি-না, সেটি সময়ে সময়ে নিম্ন আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে অবহিত করেন প্রবেশন অফিসার। যদি শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে বিচারিক আদালত সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে থাকেন।
নিউজ লাইট ৭১