ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চা ফ্যাক্টরি হচ্ছে পঞ্চগড়ে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:১০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • / 388

১৯ বছর আগে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয় উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে। প্রথম দুই বছর মোটে ৪৫৫ একর জমিতে চাষ শুরু হওয়ার পাঁচ বছর পর ২০০৫ সালে উৎপাদন দাঁড়ায় মোটে ১ লাখ ৬০ হাজার কেজি। তারপর গত এক যুগে পঞ্চগড়ে চায়ের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ কেজি।

এই সময় চায়ের আবাদি জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ একর। পঞ্চগড়ে চা চাষের এই বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সেখানে সরকারি পর্যায়ে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাক্টরি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি খাতে পঞ্চগড় ও আশপাশে ১৮টি চা ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে। এসব ফ্যাক্টরির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮৪ লাখ কেজি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চগড়ে চা ফ্যাক্টরি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করতে মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে ইতিবাচক মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৌফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

এক সময়ের পতিত গো-চারণভূমি ও দেশের অনুন্নত জেলা পঞ্চগড় এখন সবুজ চা পাতায় ভরপুর।

২০০২ সাল থেকে পঞ্চগড়ে চা আবাদের পরিমাণ বাড়ছে। ওই সময় মাত্র ৪৫৫ একর জমিতে চা চাষ হলেও ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ একর।

২০০৫ সালে পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন ১ লাখ ৬০ হাজার কেজি থেকে ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার কেজিতে। পঞ্চগড় ও আশপাশের জেলাগুলোতে অনুমোদিত চা কারখানা ২৬টি, এর মধ্যে চালু রয়েছে ১৮টি। বাকি আটটির মধ্যে দুটি বন্ধ ও ছয়টি নির্মাণাধীন রয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

সরকারি চা ফ্যাক্টরি হচ্ছে পঞ্চগড়ে

আপডেট টাইম : ১১:১০:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

১৯ বছর আগে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয় উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড়ে। প্রথম দুই বছর মোটে ৪৫৫ একর জমিতে চাষ শুরু হওয়ার পাঁচ বছর পর ২০০৫ সালে উৎপাদন দাঁড়ায় মোটে ১ লাখ ৬০ হাজার কেজি। তারপর গত এক যুগে পঞ্চগড়ে চায়ের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮৫ লাখ কেজি।

এই সময় চায়ের আবাদি জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ একর। পঞ্চগড়ে চা চাষের এই বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সেখানে সরকারি পর্যায়ে চা প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাক্টরি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি খাতে পঞ্চগড় ও আশপাশে ১৮টি চা ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে। এসব ফ্যাক্টরির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৮৪ লাখ কেজি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চগড়ে চা ফ্যাক্টরি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করতে মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে ইতিবাচক মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৌফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

এক সময়ের পতিত গো-চারণভূমি ও দেশের অনুন্নত জেলা পঞ্চগড় এখন সবুজ চা পাতায় ভরপুর।

২০০২ সাল থেকে পঞ্চগড়ে চা আবাদের পরিমাণ বাড়ছে। ওই সময় মাত্র ৪৫৫ একর জমিতে চা চাষ হলেও ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ একর।

২০০৫ সালে পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন ১ লাখ ৬০ হাজার কেজি থেকে ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার কেজিতে। পঞ্চগড় ও আশপাশের জেলাগুলোতে অনুমোদিত চা কারখানা ২৬টি, এর মধ্যে চালু রয়েছে ১৮টি। বাকি আটটির মধ্যে দুটি বন্ধ ও ছয়টি নির্মাণাধীন রয়েছে।