ঢাকা ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্তানদের মারধরে হাসপাতালে পিতা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • / 117

এখলাছ উদ্দিন

জমি লিখে না দেয়ায় সন্তানদের মারধরে এখলাছ উদ্দিন (৫৫) নামে এক পিতা গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ি গ্রামে।

সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখলাছ উদ্দিন আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, দু’বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে দু’পুত্র জহিরুল শিকদার (২৬) ও আজাদ শিকদার (২৩) এবং কন্যা নিপা (২১) বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৬ শতাংশ বসত বাড়ি তাদের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত ১৩ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে তারা তিনজন মিলে আমাকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এতে আমার হাত ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান মীমাংসার দায়িত্ব নেয়ায় থানায় অভিযোগ করি নাই। তবে আমি ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

অভিযুক্ত ছোট ছেলে আজাদ শিকদার তার পিতাকে তিন ভাই বোন মিলে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান বলেন, উভয়েরই দোষ আছে। শুনেছি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সী ডিউটি অফিসার ডা. সোহেল বাবু বলেন, এ পৈশাচিক ঘটনায় এথলাছ উদ্দিনের হাত ও পায়ের তিনটি স্থানের হাড় ভেঙ্গে গেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে।

Tag :

শেয়ার করুন

সন্তানদের মারধরে হাসপাতালে পিতা

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

জমি লিখে না দেয়ায় সন্তানদের মারধরে এখলাছ উদ্দিন (৫৫) নামে এক পিতা গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্বরোচিত এ ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চর নয়াবাড়ি গ্রামে।

সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখলাছ উদ্দিন আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, দু’বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে দু’পুত্র জহিরুল শিকদার (২৬) ও আজাদ শিকদার (২৩) এবং কন্যা নিপা (২১) বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৬ শতাংশ বসত বাড়ি তাদের নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিত। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত ১৩ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে তারা তিনজন মিলে আমাকে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এতে আমার হাত ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান মীমাংসার দায়িত্ব নেয়ায় থানায় অভিযোগ করি নাই। তবে আমি ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

অভিযুক্ত ছোট ছেলে আজাদ শিকদার তার পিতাকে তিন ভাই বোন মিলে মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান বলেন, উভয়েরই দোষ আছে। শুনেছি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সী ডিউটি অফিসার ডা. সোহেল বাবু বলেন, এ পৈশাচিক ঘটনায় এথলাছ উদ্দিনের হাত ও পায়ের তিনটি স্থানের হাড় ভেঙ্গে গেছে। সুস্থ হতে সময় লাগবে।