ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা শাস্তি ৪০ লাখ টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০
  • / 72

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নুতন করে শুরু হওয়া অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সরাসরি দেশটির শ্রম ও মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমান সরকার আগের মতো কোনো ভেন্ডর বা এজেন্ট নিয়োগ করেনি।

বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষ, এজেন্ট বা দালাল শ্রমিকদের সঙ্গে কোনোরকম প্রতারণা বা জালিয়াতি করে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হলে দেশটির বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থা জাতীয় সংবিধান ১৯৮১ সালের ২৪৬ এর ৭ ধারায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসী কর্মী রি-হায়ারিং (পুনঃনিয়োগ) প্রকল্প পরিচালিত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে দালাল ও এজেন্টদের কাছে টাকা ও পাসপোর্ট দিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন। এই প্রতারণার বিষয়টি দেশটির সরকার ও দূতাবাসে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ প্রতারক চক্র অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয়ার সময় কোন মানিরিসিট বা কোনো ডকুমেন্টস দেয়নি।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা শাস্তি ৪০ লাখ টাকা!

আপডেট টাইম : ০৫:২৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২০

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নুতন করে শুরু হওয়া অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে সরাসরি দেশটির শ্রম ও মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়। বর্তমান সরকার আগের মতো কোনো ভেন্ডর বা এজেন্ট নিয়োগ করেনি।

বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় পক্ষ, এজেন্ট বা দালাল শ্রমিকদের সঙ্গে কোনোরকম প্রতারণা বা জালিয়াতি করে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে বলে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিক নিয়োগে কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতি করা হলে দেশটির বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থা জাতীয় সংবিধান ১৯৮১ সালের ২৪৬ এর ৭ ধারায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৩ বছর কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসী কর্মী রি-হায়ারিং (পুনঃনিয়োগ) প্রকল্প পরিচালিত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে দালাল ও এজেন্টদের কাছে টাকা ও পাসপোর্ট দিয়ে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী কর্মী প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন। এই প্রতারণার বিষয়টি দেশটির সরকার ও দূতাবাসে অবহিত করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ প্রতারক চক্র অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে টাকা ও পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয়ার সময় কোন মানিরিসিট বা কোনো ডকুমেন্টস দেয়নি।

নিউজ লাইট ৭১