ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের যেসব এলাকা ঘুরে আসতে পারেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
  • / 73

মহামারি করোনায় ভাইরাসের কারনে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পেরেছেন। কারন ঘুরতে মন চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না ভাইরাসকে ভয় পেয়ে। কিন্তু শীতের আমেজে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে সবারই মন চায়। তাই যারা ঘোরাঘুরি করছেন তারা সামাজিক দুরত্ব এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় মেনেই ঘুরতে যাচ্ছেন।

যদি মন চায় তাহলে এই মহামারির ভেতর নিজেকে ঘরিবন্দি না রেখে বরং চাইলেই দেশের মধ্যে কয়েকটি স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। দেশেই এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে গিয়ে ছুটির দিনে খুব ভালো সময় কাটতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে-

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: শীতের জন্য অনেকেই বেছে নেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বারবার যেতেও কারো বিরক্ত লাগে না। শীতকালই হচ্ছে কক্সবাজার বেড়ানোর জন্য আদর্শ সময়। হালকা শীতের মাঝে সমুদ্রের গর্জন নিশ্চয়ই আপনাকে শিহরিত করবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ: সেন্টমার্টিন শীতকালে ভ্রমণের জন্য উত্তম জায়গা। স্থানীয়ভাবে নারকেল জিঞ্জিরা নামে এ দ্বীপে পরিবহন ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথ শীতকালে ভ্রমণ অনুকূলে থাকায় প্রতিবছর লাখো মানুষ এখানে ছুটে আসে।

 সাজেক ভ্যালি: বর্তমানে ভ্রমণের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান সাজেক ভ্যালি। সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায়। এখানে চারপাশে মনোরম পাহাড়ের সারি। সাদা তুলার মতো মেঘের ভ্যালি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানকার আবহাওয়া খুব দ্রুত রূপ পরিবর্তন করে। আর আশপাশে পাবেন বেশ কিছু পাহাড়।

 কেওক্রাডং এর চূড়া: বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। এর উচ্চতা প্রায় ৯৮৬ মিটার ৩,২৩৫ ফুট। যারা পাহাড়ে হাইকিং পছন্দ করেন কিংবা এডভেঞ্চার প্রেমিক তাদের জন্য কেওক্রাডং এর চূড়া পর্যন্ত হাইকিং হতে পারে জীবনের সেরা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

 নীলগিরি: বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবান। মেঘ-পাহাড়ের খেলা দেখার পাশাপাশি পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা পূরণ করতে চাইলে যেতে হবে বান্দরবানের নীলগিরিতে। বান্দরবান শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি পথ ধরে যেতে হবে নীলগিরি।

সুন্দরবন: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণের জায়গা সুন্দরবন। একইসঙ্গে কচিখালী, কটকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, জামতলা বীচ, হারবারিয়া ও করমজল ভ্রমণ করতে পারেন।

কুয়াকাটা: শীতে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক। সমুদ্র স্নানের উপযুক্ত সময়। এছাড়া কাঁকড়া দ্বীপ, গঙ্গারচর, রাখাইনপাড়া, বৌদ্ধমূর্তি এবং শুটকি পল্লী দেখে আসতে পারেন।

জাফলং ভ্রমণের জন্য এ সময় বেশ উপযুক্ত। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু অবসর পেলেই ঘুরে আসতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থান। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন পাথরের স্বর্গ খ্যাত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংকে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

দেশের যেসব এলাকা ঘুরে আসতে পারেন

আপডেট টাইম : ০৬:৩০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

মহামারি করোনায় ভাইরাসের কারনে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে পেরেছেন। কারন ঘুরতে মন চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না ভাইরাসকে ভয় পেয়ে। কিন্তু শীতের আমেজে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে সবারই মন চায়। তাই যারা ঘোরাঘুরি করছেন তারা সামাজিক দুরত্ব এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় মেনেই ঘুরতে যাচ্ছেন।

যদি মন চায় তাহলে এই মহামারির ভেতর নিজেকে ঘরিবন্দি না রেখে বরং চাইলেই দেশের মধ্যে কয়েকটি স্থানে ঘুরে আসতে পারেন। দেশেই এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে গিয়ে ছুটির দিনে খুব ভালো সময় কাটতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমন কিছু জায়গা সম্পর্কে-

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত: শীতের জন্য অনেকেই বেছে নেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার এমন একটি জায়গা যেখানে বারবার যেতেও কারো বিরক্ত লাগে না। শীতকালই হচ্ছে কক্সবাজার বেড়ানোর জন্য আদর্শ সময়। হালকা শীতের মাঝে সমুদ্রের গর্জন নিশ্চয়ই আপনাকে শিহরিত করবে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ: সেন্টমার্টিন শীতকালে ভ্রমণের জন্য উত্তম জায়গা। স্থানীয়ভাবে নারকেল জিঞ্জিরা নামে এ দ্বীপে পরিবহন ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথ শীতকালে ভ্রমণ অনুকূলে থাকায় প্রতিবছর লাখো মানুষ এখানে ছুটে আসে।

 সাজেক ভ্যালি: বর্তমানে ভ্রমণের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান সাজেক ভ্যালি। সাজেক রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায়। এখানে চারপাশে মনোরম পাহাড়ের সারি। সাদা তুলার মতো মেঘের ভ্যালি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এখানকার আবহাওয়া খুব দ্রুত রূপ পরিবর্তন করে। আর আশপাশে পাবেন বেশ কিছু পাহাড়।

 কেওক্রাডং এর চূড়া: বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। এর উচ্চতা প্রায় ৯৮৬ মিটার ৩,২৩৫ ফুট। যারা পাহাড়ে হাইকিং পছন্দ করেন কিংবা এডভেঞ্চার প্রেমিক তাদের জন্য কেওক্রাডং এর চূড়া পর্যন্ত হাইকিং হতে পারে জীবনের সেরা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

 নীলগিরি: বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবান। মেঘ-পাহাড়ের খেলা দেখার পাশাপাশি পাহাড়ের চূড়ায় মেঘ ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছা পূরণ করতে চাইলে যেতে হবে বান্দরবানের নীলগিরিতে। বান্দরবান শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বান্দরবান-থানছি পথ ধরে যেতে হবে নীলগিরি।

সুন্দরবন: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণের জায়গা সুন্দরবন। একইসঙ্গে কচিখালী, কটকা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, জামতলা বীচ, হারবারিয়া ও করমজল ভ্রমণ করতে পারেন।

কুয়াকাটা: শীতে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণের জন্য আরামদায়ক। সমুদ্র স্নানের উপযুক্ত সময়। এছাড়া কাঁকড়া দ্বীপ, গঙ্গারচর, রাখাইনপাড়া, বৌদ্ধমূর্তি এবং শুটকি পল্লী দেখে আসতে পারেন।

জাফলং ভ্রমণের জন্য এ সময় বেশ উপযুক্ত। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু অবসর পেলেই ঘুরে আসতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থান। এ ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন পাথরের স্বর্গ খ্যাত সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংকে।

নিউজ লাইট ৭১