ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
  • / 76

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামে দুই সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মৃত নজির শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব, লোভ-লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তখন বিষয়টি ধর্ষক বিল্লালকে জানালে বিল্লাল অস্বীকার করে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে। এমনকি তার মেয়ে জামাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। ধর্ষক বিল্লাল ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীর গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভপাত করানো হয়। 

এরপর ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে গেলে বুধবার (২৫ নভেম্বর) লোহাগড়া থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। 

ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, থানায় অভিযোগ দায়েরের কথা জেনে বিল্লাল ও তার পরিবার তাদেরকে হুমকী ধামকি প্রদান করছে। 

ভুক্তভোগী নারীর কথা অনুযায়ী মুঠোফোনে ডাক্তার লুৎফুর নাহারের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, তিনি এরকম কোন গর্ভপাত করেন নাই। 

অভিযুক্ত ধর্ষক বিল্লালের সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে, সে বিভিন্ন ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং মহিলা যদি থানায় অভিযোগ করে তাহলে তাকে দেখে নিবে বলে জানায়। 

লোহাগাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজ লাইট ৭১ 

Tag :

শেয়ার করুন

দুই সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার

আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামে দুই সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের চাচই গ্রামের মৃত নজির শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব, লোভ-লালসা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তখন বিষয়টি ধর্ষক বিল্লালকে জানালে বিল্লাল অস্বীকার করে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে। এমনকি তার মেয়ে জামাইকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। ধর্ষক বিল্লাল ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীর গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভপাত করানো হয়। 

এরপর ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে গেলে বুধবার (২৫ নভেম্বর) লোহাগড়া থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। 

ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, থানায় অভিযোগ দায়েরের কথা জেনে বিল্লাল ও তার পরিবার তাদেরকে হুমকী ধামকি প্রদান করছে। 

ভুক্তভোগী নারীর কথা অনুযায়ী মুঠোফোনে ডাক্তার লুৎফুর নাহারের সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, তিনি এরকম কোন গর্ভপাত করেন নাই। 

অভিযুক্ত ধর্ষক বিল্লালের সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে, সে বিভিন্ন ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং মহিলা যদি থানায় অভিযোগ করে তাহলে তাকে দেখে নিবে বলে জানায়। 

লোহাগাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিউজ লাইট ৭১