আমার সঙ্গে মৌসুমী-সানীর ভালো সম্পর্ক’
- আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯
- / 126
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তার সঙ্গে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। নির্বাচন উপলক্ষে তার সঙ্গে কথা বলেছেন আল কাছির
<‘মৌসুমী-সানীর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক’ শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা—
নির্বাচন উপলক্ষে শিল্পীদের বাসায় যাওয়া তো উঠিয়ে দিয়েছি, তাই ফোনেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। অনেক শিল্পী এফডিসিতে আসছেন, তাদের কাছে ভোট চাইছি। এটা আমাদের শিল্পীদের নির্বাচন, আমি যেটাকে বলি ‘মালা বদল’। আমি মনে করি, শিল্পী সমিতির ভোটারদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর জন্যই এ নির্বাচন। তাই এ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সবার জন্য রইলো আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা। বিগত দুই বছরে আমাদের কাজগুলোর কারণে আমি আশা করতে পারি ৬০ শতাংশ ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে। যে সমস্ত কাজ আমরা করেছি, সেগুলো সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন। আর দুই বছর সময় পেলে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।
এবারের ইশতেহারে কোন বিষয়টিকে জোর দেবেন?
শিল্পীদের জন্য একটি হ্যান্ডসাম ফান্ড করার চেষ্টার করবো। চেষ্টা করব বড় পরিমাণের একটি ফান্ড গঠন করার। একটি উপদেষ্টা প্যানেল করার ইচ্ছা রয়েছে, যাতে আমাদের পথচলা আরও সুন্দর করতে পারি। আবাসন, শিল্পী সমিতির ওয়েবসাইটসহ আরও অনেকগুলো বিষয় আসবে আমাদের এবারের ইশতেহারে। সেগুলো ইনশাআল্লাহ ২৩ অক্টোবর অফিশিয়ালভাবে আমরা জানাবো।
জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?
বিগত বছরে আমরা কাজ করেছি বলেই বলছি, আমার মনে হয় সত্যিকারের শিল্পী যারা আছেন, তারা কিন্তু কেউ আমাদের বিপক্ষে কোনো কথা বলেননি। বরং আমাদের পক্ষেই কথা বলেছেন। ইনশাআল্লাহ, পুরো প্যানেল জয়ের ব্যাপারে আমি সত্যিই আশাবাদী। মৌসুমী আমার অনেক কাছের মানুষ, ও কিন্তু হঠাৎ পরিকল্পনা করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। ও যদি আমাকে আগে বলতো, তাহলে আমরা সবাই বসে একটি সিদ্ধান্ত নিতাম। আমরা দাঁড়ানোর পর শুনলাম মৌসুমীও দাঁড়াবে। তবে এটাকে আমি কোনো ব্যাপার মনে করছি না। আমি মনে করি, এটি একটি খেলা। খেলায় একদল পরাজিত হবেই। শিল্পী সমিতিতে শিল্পীরা বিগত দিনে আমাকে যে পরিমাণ সম্মান দিয়েছেন, তাতে শিল্পী সমিতির প্রত্যেক সদস্যের কাছে আমি ঋণী। এ ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। ঋণের জায়গা থেকেই আরেকবার দাঁড়াতে চাই, শিল্পীদের সেবায় কাজ করতে চাই।
গত নির্বাচনে ওমর সানী ছিলেন আপনার বিপরীতে, এবার মৌসুমী—
ব্যক্তিগতভাবে ওমর সানী আর মৌসুমীর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। পারিবারিকভাবেও আমাদের সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। ওদের সঙ্গে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সানীর সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। তিন মাস আগে যখন আমেরিকায় গিয়েছিলাম, তখন এয়ারপোর্টে মৌসুমী আমার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা কথা বলেছে। সমিতি গত সমস্যা ছিলো বলেই গত দুই বছরে ওদের কোনো অনুষ্ঠানে আমি অংশ নিতে পারিনি। আমি আগেই বলেছি, এটি একটি খেলা। এখানে যে কেউ জিততে পারে।
প্যানেলে থেকেও বাপ্পারাজ নির্বাচনি প্রচারে নেই কেন?
বাপ্পারাজ নির্বাচনি প্রচারে এসেছিল। বাপ্পারাজের মায়ের শরীরটা কয়েকদিন ধরে খারাপ যাচ্ছে। এ ছাড়া পারিবারিক কিছু ব্যস্ততার কারণে বাপ্পা নিয়মিত এফডিসিতে আসতে পারছে না। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ভাইটাল প্রোগ্রামগুলোতে বাপ্পা অংশ নিচ্ছে। অফিসিয়াল কর্মসূচিগুলোতে ও আসবে। বাপ্পারাজ নিয়মিত সময় দিতে পারবে না সেটা ও আমাকে আগেই বলেছিল।
ভোটারদের উদ্দেশে বলুন—
ভোটারদের উদ্দেশে একটা কথাই বলবো, আমি আপনাদের কাছে ঋণী। আপনাদের এ ঋণ আমি শোধ করতে পারবো না। আমি সমস্ত ভোটারদের কাছে দোয়া চাই। আমার পুরো প্যানেলকে পাস করানোর জন্য তাদের কাছে অনুরোধ করে ভোট চাইছি।