ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ দূতাবাস বেইজিংয়ের সহযোগিতায় ও রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের পৃষ্ঠপোষকতায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
  • / 72

জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাথে মিল রেখে চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৪৯তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে ২১ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।

বাংলাদেশ দূতাবাস বেইজিংয়ের সহযোগিতায় ও রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠান আয়োজনে নেতৃত্ব দেন ডিফেন্স অ্যাটাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মাহবুব উল আলম (ওএসপি, এসজিপি, এনডিসি, এবং পিএসসি)। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণের সম্ভাবনার কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হয়েছিলেন এমন সাহসী বীরদের আত্মার মুক্তির জন্য এ দিন বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মত্যাগকারী ত্রিশ লাখ শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং তিন বাহিনী প্রধানদের বার্তা পাঠ করা হয়।

এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স অ্যাটাচি, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, সহকারী ডিফেন্স অ্যাটাচি এবং বেইজিংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।

সভায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতির আবেগকে স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত করায় ডিফেন্স অ্যাটাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. মাহবুব উল আলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ অর্জন করেছি। একই সাথে তিনি নিজের বক্তব্যে একটি আধুনিক ও সম্পূর্ণ পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারা অবরুদ্ধ সকল প্রকার অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলতে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। এ সময় তিনি ত্রিশ লাখ শহীদদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনটি আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই দিনটিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ সদস্যরা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জল, স্থল, এবং আকাশ পথে একটি সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করেছিল। যা একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভ করতে ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ দূতাবাস বেইজিংয়ের সহযোগিতায় ও রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের পৃষ্ঠপোষকতায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাথে মিল রেখে চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৪৯তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে ২১ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান।

বাংলাদেশ দূতাবাস বেইজিংয়ের সহযোগিতায় ও রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠান আয়োজনে নেতৃত্ব দেন ডিফেন্স অ্যাটাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মাহবুব উল আলম (ওএসপি, এসজিপি, এনডিসি, এবং পিএসসি)। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণের সম্ভাবনার কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজিয়ে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হয়েছিলেন এমন সাহসী বীরদের আত্মার মুক্তির জন্য এ দিন বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। একই সাথে বাংলাদেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় আত্মত্যাগকারী ত্রিশ লাখ শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং তিন বাহিনী প্রধানদের বার্তা পাঠ করা হয়।

এরপর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত, ডিফেন্স অ্যাটাচি, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, সহকারী ডিফেন্স অ্যাটাচি এবং বেইজিংয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।

সভায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতির আবেগকে স্বাধীনতার জন্য উজ্জীবিত করায় ডিফেন্স অ্যাটাচি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস. এম. মাহবুব উল আলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ অর্জন করেছি। একই সাথে তিনি নিজের বক্তব্যে একটি আধুনিক ও সম্পূর্ণ পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারা অবরুদ্ধ সকল প্রকার অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ তুলতে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। এ সময় তিনি ত্রিশ লাখ শহীদদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনটি আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই দিনটিতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ সদস্যরা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জল, স্থল, এবং আকাশ পথে একটি সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করেছিল। যা একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় লাভ করতে ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

নিউজ লাইট ৭১