ঢাকা ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • / 73

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে সংসদে উত্থাপিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। বিলটি যাচাই-বাছাইয়ে প্রস্তাবিত ‘ধর্ষিতা’ বা ‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে গত ৮ নভেম্বর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। 

এদিকে আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদনটি সংসদে উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ।

বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। 

তারই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

এদিকে গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) উপ-ধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন। 

সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৯ (১) উপ-ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, মূল আইনের ৯ (২) ধারাসহ কয়েক জায়গায় ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ

আপডেট টাইম : ০৬:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করতে সংসদে উত্থাপিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিলের রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। বিলটি যাচাই-বাছাইয়ে প্রস্তাবিত ‘ধর্ষিতা’ বা ‘ধর্ষিতা নারী’ শব্দের পরিবর্তে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দ বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে গত ৮ নভেম্বর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। 

এদিকে আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিবেদনটি সংসদে উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ।

বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি জানান। 

তারই ধারাবাহিকতায় সরকার আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 

এদিকে গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়।

২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) উপ-ধারায় বলা হয়, যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন। 

সংশোধিত আইনের খসড়ায় ৯ (১) উপ-ধারায় ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া, মূল আইনের ৯ (২) ধারাসহ কয়েক জায়গায় ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১