ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুস্থ থাকতে যা করবেন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / 89

করোনার সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরও কাশি কয়েক সপ্তাহ থাকা, শরীর দুর্বল, অবসাদ ও ক্লান্তি লাগতে পারে। এ ছাড়া শুকনো কাশি, ফুসফুসের সমস্যা, বুকে চাপ ও ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

সাধারণত জ্বর-সর্দির তুলনায় কোভিডের ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষ আচমকা হার্টঅ্যাটাক বা অন্য কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেক রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে।

সুস্থ থাকতে যা করবেন
১. হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর পরবর্তী ১৪ দিন বাড়িতে খানিকটা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানতে হবে। এ ছাড়া মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সুযোগ থাকলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুবার পরীক্ষা করাতে পারেন।

২. করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর রোগীকে সাবধানে থাকতে হয়। সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেয়া ছাড়াও দ্বিতীয়বার ইনফেকশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

৩. সেরে ওঠা রোগীর মধ্যে পোস্ট কোভিড ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণজনিত নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ব্যাক্টেরিয়া এমনকি ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়।

৪. বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসের পরামর্শ নিন।

৫. করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ফুসফুসের। তাই ফুসফুসের ব্যায়াম করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

৬. করোনারি আর্টারি অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনিতেও কোভিড সংক্রমণের প্রভাব পড়তে পারে। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর খুসখুসে কাশি, দুর্বল লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, হাঁটাচলা করতে গেলে শ্বাসকষ্ট, কারও বুকে চাপ ধরা ভাব থাকতে পারে।

৭. উপসর্গ থাকলে চিকিৎসক রোগীকে দেখে বুঝলে তবেই সিটিস্ক্যান করাতে হবে।

৮. কোভিড নেগেটিভ হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর ফলোআপ চিকিৎসায় এ বিষয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করানো উচিত।

লেখক: ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন, ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সহযোগী অধ্যাপক।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সুস্থ থাকতে যা করবেন

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

করোনার সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরও কাশি কয়েক সপ্তাহ থাকা, শরীর দুর্বল, অবসাদ ও ক্লান্তি লাগতে পারে। এ ছাড়া শুকনো কাশি, ফুসফুসের সমস্যা, বুকে চাপ ও ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

সাধারণত জ্বর-সর্দির তুলনায় কোভিডের ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষ আচমকা হার্টঅ্যাটাক বা অন্য কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেক রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে।

সুস্থ থাকতে যা করবেন
১. হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর পরবর্তী ১৪ দিন বাড়িতে খানিকটা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানতে হবে। এ ছাড়া মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সুযোগ থাকলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুবার পরীক্ষা করাতে পারেন।

২. করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর রোগীকে সাবধানে থাকতে হয়। সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেয়া ছাড়াও দ্বিতীয়বার ইনফেকশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

৩. সেরে ওঠা রোগীর মধ্যে পোস্ট কোভিড ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণজনিত নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ব্যাক্টেরিয়া এমনকি ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়।

৪. বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসের পরামর্শ নিন।

৫. করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ফুসফুসের। তাই ফুসফুসের ব্যায়াম করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

৬. করোনারি আর্টারি অর্থাৎ হৃৎপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনিতেও কোভিড সংক্রমণের প্রভাব পড়তে পারে। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর খুসখুসে কাশি, দুর্বল লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, হাঁটাচলা করতে গেলে শ্বাসকষ্ট, কারও বুকে চাপ ধরা ভাব থাকতে পারে।

৭. উপসর্গ থাকলে চিকিৎসক রোগীকে দেখে বুঝলে তবেই সিটিস্ক্যান করাতে হবে।

৮. কোভিড নেগেটিভ হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর ফলোআপ চিকিৎসায় এ বিষয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করানো উচিত।

লেখক: ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন, ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর ও সহযোগী অধ্যাপক।

নিউজ লাইট ৭১