ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
  • / 95

রাজধানীতে উপনির্বাচনকে ঘিরে মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে ৯টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরা অভিযোগে দলটির বিক্ষোভের মধ্যে এই তথ্য জানান তিনি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে ঢাকায় নয়টি বাসে আগুন দেয়া হয়।

এসব ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে। শুক্রবার ২৮ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ, আগুন দিয়েছে বিএনপি। যদিও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটে কারচুপি থেকে দৃষ্টি সরাতে সরকার তার এজেন্সিকে দিয়ে আগুন দিয়েছে।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আগুন যে বিএনপি দিয়েছে, তা নানা ঘটনায় প্রমাণ হয়।

আগুন দেয়ার রাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সঙ্গে দলের এক নেত্রীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যে সব কথোপকথোনের রেকর্ড রয়েছে তাতে এই সত্যতাই প্রতীয়মান হয়।

কামাল বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সব সময়েই নির্বাচনে জেতার হাতিয়ার হিসেবে এই সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ করেছে। নির্বাচনে পরাজিত হলে বিএনপি ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।’

মন্ত্রী বলেন, এর আগে তাদের চেয়ারপারসন যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, তখন হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করেছে, সাধারণ গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এ ধরনের সন্ত্রাস মোকাবেলায় সরকার সব সময় প্রস্তুত আছে জানিয়ে কামাল বলেন, জনগণের জানমালের কেউ ক্ষতি করলে আমরা তার হেফাজত করতে পারব না, এটাতো আমরা মনে করি না। যেখানে যেটা প্রয়োজন তাই করা হবে। এর মূল হোতাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যেদিন আগুন দেয়া হয়েছে, সেদিন ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির তুলনায় ১৪ গুণ আর সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির তুলনায় ৪০২ গুণ বেশি ভোট পড়ে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায়।

বিএনপির অভিযোগ ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোটাররা ইভিএমে পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পেরেছে কেবল। ভোটের বোতাম টিপেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি, সেই জন্যই হয়তো এই রকম একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন যখনই যেখানে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, সেখানেই এই ধরনের একটা ঘোলাটে পরিবেশ তৈরির জন্য আগের সময়ে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

রাজধানীতে উপনির্বাচনকে ঘিরে মাত্র চার ঘণ্টার ব্যবধানে ৯টি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোরা অভিযোগে দলটির বিক্ষোভের মধ্যে এই তথ্য জানান তিনি।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে ঢাকায় নয়টি বাসে আগুন দেয়া হয়।

এসব ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে। শুক্রবার ২৮ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আওয়ামী লীগের অভিযোগ, আগুন দিয়েছে বিএনপি। যদিও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটে কারচুপি থেকে দৃষ্টি সরাতে সরকার তার এজেন্সিকে দিয়ে আগুন দিয়েছে।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আগুন যে বিএনপি দিয়েছে, তা নানা ঘটনায় প্রমাণ হয়।

আগুন দেয়ার রাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর সঙ্গে দলের এক নেত্রীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যে সব কথোপকথোনের রেকর্ড রয়েছে তাতে এই সত্যতাই প্রতীয়মান হয়।

কামাল বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সব সময়েই নির্বাচনে জেতার হাতিয়ার হিসেবে এই সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ করেছে। নির্বাচনে পরাজিত হলে বিএনপি ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।’

মন্ত্রী বলেন, এর আগে তাদের চেয়ারপারসন যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, তখন হাইকোর্টের সামনে প্রিজন ভ্যান ভাঙচুর করেছে, সাধারণ গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

এ ধরনের সন্ত্রাস মোকাবেলায় সরকার সব সময় প্রস্তুত আছে জানিয়ে কামাল বলেন, জনগণের জানমালের কেউ ক্ষতি করলে আমরা তার হেফাজত করতে পারব না, এটাতো আমরা মনে করি না। যেখানে যেটা প্রয়োজন তাই করা হবে। এর মূল হোতাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যেদিন আগুন দেয়া হয়েছে, সেদিন ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির তুলনায় ১৪ গুণ আর সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির তুলনায় ৪০২ গুণ বেশি ভোট পড়ে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায়।

বিএনপির অভিযোগ ভোটে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোটাররা ইভিএমে পরিচয় শনাক্তে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পেরেছে কেবল। ভোটের বোতাম টিপেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি, সেই জন্যই হয়তো এই রকম একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন যখনই যেখানে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, সেখানেই এই ধরনের একটা ঘোলাটে পরিবেশ তৈরির জন্য আগের সময়ে তারা প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১