ঠান্ডা লাগলে শিশুকে কয়েকটি খাবার একেবারেই দেবেন না
- আপডেট টাইম : ০৬:০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০
- / 79
নিউজ লাইট ৭১ঃ সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন খাবারের ক্ষেত্রে। কারণ তার উপরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে। ঠান্ডা লাগলে শিশুকে কয়েকটি খাবার একেবারেই দেবেন না। আবহাওয়া পালটাচ্ছে, এই সময়ে শিশুর শরীরের ওপর প্রভাব পড়ে। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি হয়ে থাকে। হতে পারে সামান্য জ্বরও।
অসাবধানতায় এ সময় সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা ফ্লু থেকে শুরু করে হতে পারে নিউমোনিয়া কিংবা ব্রংকিওলাইটিস। ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত হলে শিশুদের নাক দিয়ে জল বের হতে থাকে, হাঁচি-কাশিও হয়। এই সময় সাবধান থাকা আগে যতটা না প্রয়োজন ছিল, তার থেকেই বেশি প্রয়োজন এই করোনাকালে।
এই সময় বাচ্চাদের বেশি ঠান্ডা লাগে। তাই সাবধান থাকা আবশ্যক। সবেচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন খাবারের ক্ষেত্রে। কারণ তার উপরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে। ঠান্ডা লাগলে শিশুকে কয়েকটি খাবার একেবারেই দেবেন না।
১) মাংস- এই সময় শিশুদের চিকেন বা মাটন দেওয়া কখোনই নয়। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যাতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে। এই সময় অর্গ্যানিক মিট কিংবা মাছ বেশি করে খাওয়াতে পারেন।
২) মিষ্টি জাতীয় খাদ্য- চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি এই সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বেশি মিষ্টতা রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এর ফলে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে খুব সহজেই সংক্রমণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) প্যাকেটজাত খাদ্য – এখন বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে প্যাকেটজাত খাদ্য। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, নাগেটস, সসেজের মতো রেডিমেড প্যাকেটজাত খাবার এখন সকলেই বাড়িতেই থাকে। শিশু যত এই ধরনের খাবার বেশি খাবে ততই গলায় মিউকাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে ।
৪) দুগ্ধজাত খাবার – দুধ এমনিতে উপকারী কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নয়, আর সবসময় নয়। শীতের সময় শিশুর খাবারে চিজ, ক্রিম বন্ধ করে দিন। তেমন হলে দুধের পরিমাণও কমিয়ে দিন। মরশুমের শাকসবজি ও ফল খাওয়ান বেশি করে। বিশেষ করে এমন খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘C’ রয়েছে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।