ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেজিতে ২৫ টাকা লাভ পেঁয়াজে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
  • / 119

প্রতিকেজি পেঁয়াজে লাভ ২৫ টাকা। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে দু’টি আড়তকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। আড়তগুলোতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রিতে ২৫ টাকারও বেশি লাভ নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রেয়াজুদ্দিন বাজারে চাল ডাল ট্রেডার্স নামে একটি আড়তে মিয়ানমারের পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছিল ৭৫ টাকা কেজি দরে। কেনার রশিদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসব পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪৮ টাকায় কেনা হয়েছিল। এছাড়া মেহরাজ স্টোরস নামে একটি আড়তে ৬৫ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা হচ্ছিল ৯০ টাকায়। চাল ডাল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা ও মেহরাজ স্টোরসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রেয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। উভয় বাজারে বিক্রেতাদের পেঁয়াজের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। সিন্ডিকেটের কারসাজি প্রতিরোধ করে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি কারসাজির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। এদিকে আড়ত এবং বাজারে চলছে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।

Tag :

শেয়ার করুন

কেজিতে ২৫ টাকা লাভ পেঁয়াজে

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

প্রতিকেজি পেঁয়াজে লাভ ২৫ টাকা। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে দু’টি আড়তকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। আড়তগুলোতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রিতে ২৫ টাকারও বেশি লাভ নেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রেয়াজুদ্দিন বাজারে চাল ডাল ট্রেডার্স নামে একটি আড়তে মিয়ানমারের পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছিল ৭৫ টাকা কেজি দরে। কেনার রশিদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, এসব পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪৮ টাকায় কেনা হয়েছিল। এছাড়া মেহরাজ স্টোরস নামে একটি আড়তে ৬৫ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা হচ্ছিল ৯০ টাকায়। চাল ডাল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা ও মেহরাজ স্টোরসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রেয়াজুদ্দিন বাজারে অভিযানের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। উভয় বাজারে বিক্রেতাদের পেঁয়াজের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। সিন্ডিকেটের কারসাজি প্রতিরোধ করে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন। তিনি কারসাজির মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। এদিকে আড়ত এবং বাজারে চলছে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।