ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্ষত থাকবে ইসির ডাটাবেজ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯
  • / 107

নির্বাচন কমিশন ভবন

দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য সুরক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে ইসির তথ্য ভাণ্ডার (সার্ভার) স্থানান্তরসহ পৃথক পৃথক স্থানে তিনটি ব্যাকআপ সার্ভার তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে শক্তিশালী ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না নাগরিকদের ডাটাবেজ।

জানা গেছে, বর্তমানে ইসির মূল নাগরিক তথ্যভাণ্ডারটি রয়েছে আগারগাঁওয়ে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে। ব্যাকআপ হিসেবে মূল তথ্যভাণ্ডারের আরেকটি ফরমেট রয়েছে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে। দুটি সার্ভারই একই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। ফলে ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইসির ডাটাবেজ। এ বিবেচনায় ডাটাবেজের নিরাপত্তা অধিকতর সুনিশ্চিত করতে ইসি চারটিও বেশি ব্যাকআপ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার জাতীয় সম্পদ। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তাই ইসির নিজস্ব ভবনের মূল তথ্যভাণ্ডর সরিয়ে আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে স্থানান্তরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ। এছাড়া তথ্যভাণ্ডারের ডাটা সুরক্ষিত করতে তিনটি পৃথক জায়গায় ডাটা সংরক্ষণ সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), কালিয়াকৈর ও যশোরে এগুলো রাখা হবে। এর ফলে ভূমিকম্পসহ দেশে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হলেও আমাদের জাতীয় নাগরিক তথ্যের কোনো ক্ষতি হবে না।

সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ওইসব ডাটা সেন্টারে ইসির কর্তৃত্ব এবং নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার শুধু দেখভাল করবে। মূল নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে। ওটাতে আমরা ছাড়া সরকারের আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কাজেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশের ভোটার কোটিরও নিচে। আর আমাদের ভোটার ১০ কোটির বেশি। তাই এত বড় একটি তথ্যভাণ্ডার আমাদের রয়েছে, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা এটাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলেছি। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে ডাটা সেন্টার, কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ও যশোরের আইটি পার্কে স্থাপিত ডাটা সেন্টারে নাগরিকের তথ্য সংরক্ষিত রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। এর ভিত্তিতেই পর্যায়ক্রমে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির মতো সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির নাগরিক পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে গেছে।

Tag :

শেয়ার করুন

অক্ষত থাকবে ইসির ডাটাবেজ

আপডেট টাইম : ০৯:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০১৯

দেশের ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি নাগরিকের তথ্য সুরক্ষায় তিন স্তরের নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে ইসির তথ্য ভাণ্ডার (সার্ভার) স্থানান্তরসহ পৃথক পৃথক স্থানে তিনটি ব্যাকআপ সার্ভার তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে শক্তিশালী ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও কোনো ধরনের ক্ষতি হবে না নাগরিকদের ডাটাবেজ।

জানা গেছে, বর্তমানে ইসির মূল নাগরিক তথ্যভাণ্ডারটি রয়েছে আগারগাঁওয়ে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে। ব্যাকআপ হিসেবে মূল তথ্যভাণ্ডারের আরেকটি ফরমেট রয়েছে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে। দুটি সার্ভারই একই ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। ফলে ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইসির ডাটাবেজ। এ বিবেচনায় ডাটাবেজের নিরাপত্তা অধিকতর সুনিশ্চিত করতে ইসি চারটিও বেশি ব্যাকআপ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম নিউজ লাইট ৭১ কে বলেন, এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার জাতীয় সম্পদ। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। তাই ইসির নিজস্ব ভবনের মূল তথ্যভাণ্ডর সরিয়ে আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে স্থানান্তরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ। এছাড়া তথ্যভাণ্ডারের ডাটা সুরক্ষিত করতে তিনটি পৃথক জায়গায় ডাটা সংরক্ষণ সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), কালিয়াকৈর ও যশোরে এগুলো রাখা হবে। এর ফলে ভূমিকম্পসহ দেশে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হলেও আমাদের জাতীয় নাগরিক তথ্যের কোনো ক্ষতি হবে না।

সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ওইসব ডাটা সেন্টারে ইসির কর্তৃত্ব এবং নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার শুধু দেখভাল করবে। মূল নিয়ন্ত্রণ থাকবে আমাদের হাতে। ওটাতে আমরা ছাড়া সরকারের আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। কাজেই নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশের ভোটার কোটিরও নিচে। আর আমাদের ভোটার ১০ কোটির বেশি। তাই এত বড় একটি তথ্যভাণ্ডার আমাদের রয়েছে, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা এটাকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলেছি। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে ডাটা সেন্টার, কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি ও যশোরের আইটি পার্কে স্থাপিত ডাটা সেন্টারে নাগরিকের তথ্য সংরক্ষিত রাখা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে। এর ভিত্তিতেই পর্যায়ক্রমে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে এনআইডি তথ্য ভাণ্ডার। বর্তমানে ৫০টির মতো সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইসির এই তথ্যভাণ্ডার থেকে ব্যক্তির নাগরিক পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এতে অপরাধী চিহ্নিতকরণসহ বহুমুখী সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে গেছে।