ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজি হাইকোর্টে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
  • / 89

৭১: রাজধানীর গুলশানে বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাসায় থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাতিজি মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।

এদিকে গেল ২৬ অক্টোবর মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে তাদের বাসায় অনতিবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ছুটির দিনে কোর্টে বসিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

ওই রাতেই গুলশান থানার পুলিশ মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে তাদের বাসায় তুলে দেন।

একইদিন আদালত গুলশান থানার ওসিসহ ১ নভেম্বর দুই মেয়ে ও তাদের বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে নিয়ে ৩ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর এর মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে।

ওই দুই বোনের দাবি, তাদের বাড়ির দখল অন্যের দখলে। তাদের বাসার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতেই রয়েছে বর্তমানে এই বাড়ি। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

এর আগে গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু হয়। তিনি পাইলট ছিলেন। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই।

এদিকে বাবার বাড়িতে নিজেদের অধিকার নিশ্চিতে দুই দিন ধরে বাড়ির বাসনে অবস্থান নেন মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তবে তারা বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এ নিয়ে মুশফিকা জানান, ১৯৮৪ সালে তার বাবা-মা গুলশানের ওই বাসায় সংসার শুরু করেছিলেন। দুই বোনের জন্মও এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন তাদের বাবা। আঞ্জু কাপুর এখন বাড়িটির ভোগদখল করছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

ফেরদৌস ওয়াহিদের দুই ভাতিজি হাইকোর্টে

আপডেট টাইম : ০৪:১৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০

৭১: রাজধানীর গুলশানে বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাসায় থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাতিজি মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।

এদিকে গেল ২৬ অক্টোবর মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে তাদের বাসায় অনতিবিলম্বে প্রবেশ নিশ্চিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ছুটির দিনে কোর্টে বসিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

ওই রাতেই গুলশান থানার পুলিশ মুশফিকা ও মোবাশ্বেরাকে তাদের বাসায় তুলে দেন।

একইদিন আদালত গুলশান থানার ওসিসহ ১ নভেম্বর দুই মেয়ে ও তাদের বাড়িতে থাকা আঞ্জু কাপুরকে নিয়ে ৩ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের বাড়িটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর। গৃহকর্তার মৃত্যুর পর এর মালিকানা নিয়ে বিরোধের কারণে তার দুই মেয়ে অবস্থান নিয়েছেন বাড়ির সামনে।

ওই দুই বোনের দাবি, তাদের বাড়ির দখল অন্যের দখলে। তাদের বাসার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতেই রয়েছে বর্তমানে এই বাড়ি। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না।

এর আগে গত ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু হয়। তিনি পাইলট ছিলেন। তার ভাই-বোনদের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশে নেই।

এদিকে বাবার বাড়িতে নিজেদের অধিকার নিশ্চিতে দুই দিন ধরে বাড়ির বাসনে অবস্থান নেন মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তবে তারা বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এ নিয়ে মুশফিকা জানান, ১৯৮৪ সালে তার বাবা-মা গুলশানের ওই বাসায় সংসার শুরু করেছিলেন। দুই বোনের জন্মও এই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামে এক ভারতীয় নারীকে বিয়ে করেন তাদের বাবা। আঞ্জু কাপুর এখন বাড়িটির ভোগদখল করছেন।