ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধভাবে আমদানি ও শুল্ক ফাঁকি দমনে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 110

৭১: আগামী বছরের শুরুতেই অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন (আইএমইআই) নম্বরের মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব হ্যান্ডসেটের সিম কার্ডের সেবা বন্ধ রাখবে বিটিআরসি।

এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই বিটিআরসি অবৈধভাবে আমদানি ও শুল্ক ফাঁকি দমনে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, এমন বার্তা সরকার আগেই দিয়েছিল। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালুর কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। সফটওয়ার উন্নয়নের দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি বাস্তবায়িত হবে।

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে টেলিকম ওয়াচডাগ এই সংক্রান্ত একটি পাবলিক নোটিশ জারি করেছিল। তখন গ্রাহকদের মোবাইল ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির সঙ্গে নিবন্ধিত কিনা তা পরীক্ষা করতে বলা হয়।

বিটিআরসির মতে, গত তিন বছরে ফোন আমদানিকারক, অপারেটর এবং বাংলাদেশি মোবাইল নির্মাতাদের তথ্য নিয়ে ১১৮.২২ মিলিয়ন আইএমইআই নম্বর একটি ডাটাবেজে যুক্ত করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কোনো আইএমইআই যদি অনিবন্ধিত থাকে, তাহলে সেটি নকল এবং তা অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে।

জানা গেছে, যে কেউ *#০৬#-এ ডায়াল করে মোবাইলের পর্দায় তার হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পাবেন। মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে সেটি নিবন্ধিত কিনা জানতে হবে।

বিটিআরসি গত বছরের ২২ জানুয়ারি মোবাইল হ্যান্ডসেট অনলাইন ডাটাবেস চালু করে। এরপর থেকে বৈধভাবে আমদানি করা এবং এসেম্বল করা সব হ্যান্ডসেট তাদের ডাটাবেসে নিবন্ধিত হচ্ছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১০ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

অবৈধভাবে আমদানি ও শুল্ক ফাঁকি দমনে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

আপডেট টাইম : ০৬:০৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

৭১: আগামী বছরের শুরুতেই অবৈধভাবে আমদানি করা বা নকল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন (আইএমইআই) নম্বরের মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা গেছে, একটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব হ্যান্ডসেটের সিম কার্ডের সেবা বন্ধ রাখবে বিটিআরসি।

এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই বিটিআরসি অবৈধভাবে আমদানি ও শুল্ক ফাঁকি দমনে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, এমন বার্তা সরকার আগেই দিয়েছিল। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালুর কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। সফটওয়ার উন্নয়নের দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি বাস্তবায়িত হবে।

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে টেলিকম ওয়াচডাগ এই সংক্রান্ত একটি পাবলিক নোটিশ জারি করেছিল। তখন গ্রাহকদের মোবাইল ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির সঙ্গে নিবন্ধিত কিনা তা পরীক্ষা করতে বলা হয়।

বিটিআরসির মতে, গত তিন বছরে ফোন আমদানিকারক, অপারেটর এবং বাংলাদেশি মোবাইল নির্মাতাদের তথ্য নিয়ে ১১৮.২২ মিলিয়ন আইএমইআই নম্বর একটি ডাটাবেজে যুক্ত করা হয়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কোনো আইএমইআই যদি অনিবন্ধিত থাকে, তাহলে সেটি নকল এবং তা অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে।

জানা গেছে, যে কেউ *#০৬#-এ ডায়াল করে মোবাইলের পর্দায় তার হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পাবেন। মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে সেটি নিবন্ধিত কিনা জানতে হবে।

বিটিআরসি গত বছরের ২২ জানুয়ারি মোবাইল হ্যান্ডসেট অনলাইন ডাটাবেস চালু করে। এরপর থেকে বৈধভাবে আমদানি করা এবং এসেম্বল করা সব হ্যান্ডসেট তাদের ডাটাবেসে নিবন্ধিত হচ্ছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সংখ্যা ১০ কোটি। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।