ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান সেলিম।

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / 75

৭১: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে আজই বরখাস্ত করা হচ্ছে।

তাকে বরখাস্ত করার জন্য চিঠি ইস্যুর প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, আইনানুযায়ী আজই (২৭ অক্টোবর) তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে মাদক গ্রহণ ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ বছরের সাজা দেওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়।

উপ-ধারা ১২ (১) বলা হয়েছে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের অপসারণের জন্য ধারা ১৩ এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্রমত, মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে।

এ আইনের ১৩ ধারায় মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

১৩ এর উপধারা ১ এর খ-তে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারিত হবেন।

এছাড়া ১৩ এর ঘ-তে বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলেও তিনি অপসারিত হবেন।

Tag :

শেয়ার করুন

বরখাস্ত হচ্ছেন ইরফান সেলিম।

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

৭১: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে আজই বরখাস্ত করা হচ্ছে।

তাকে বরখাস্ত করার জন্য চিঠি ইস্যুর প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, আইনানুযায়ী আজই (২৭ অক্টোবর) তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে মাদক গ্রহণ ও বেআইনিভাবে ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ বছরের সাজা দেওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য মেয়র বা কাউন্সিলররা বরখাস্ত হয়ে থাকেন। এ আইনের ১২ ধারায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের বরখাস্ত করার বিষয়ে বলা হয়েছে।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করতে হয়।

উপ-ধারা ১২ (১) বলা হয়েছে, যে কোন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের অপসারণের জন্য ধারা ১৩ এর অধীন কার্যক্রম আরম্ভ হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ক্ষেত্রমত, মেয়র বা কোন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করতে পারবে।

এ আইনের ১৩ ধারায় মেয়র এবং কাউন্সিলরগণের অপসারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে।

১৩ এর উপধারা ১ এর খ-তে বলা হয়েছে, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হলে তিনি অপসারিত হবেন।

এছাড়া ১৩ এর ঘ-তে বলা হয়েছে, অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলেও তিনি অপসারিত হবেন।