সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
- আপডেট টাইম : ০৬:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০
- / 91
৭১: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি খারিজ করে দেয়ার কথা বলে উপজেলা সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক ও মাধাইনগর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আখতার হোসেন মিলে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরগাঁতী গ্রামের আবু হাসান নামে এক কৃষক তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যার ডকেট নং:-১।
এ দিকে মাধাইনগর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আখতার হোসেন বদলী হয়ে বর্তমানে কাজিপুর উপজেলার নাটুয়াপাড়া চরগিরি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত রয়েছে ও সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক বর্তমানে তাড়াশ উপজেলা ভুমি অফিসে দায়িত্ব পালন করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়ের জাহাঙ্গীর গাঁতী গ্রামের মৃত আখতার হোসেনের ছেলে আবু হাসান পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি মৌজার দাগ নং এস.এ ১১৬, আর এস ২০২, এস এ ৪৮৩, আর এস ৪৮৬, এস এ ৪৮৪, আর এস ৪৮৭, সম্পত্তি ০.৪৯৫০ একর ভূমি তাকে না জানিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই এক তরফা ভাবে ৬৭৯/ওঢ-ও/২০১৮-২০১৯ নামজারী কেস করে তার ওরিশকগণ খারিজ করে নেয়। সে যখন জানতে পারে তখন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে গিয়ে বিবিধ কেস নং ০৩/ঢওওও/১৯-২০নং মিস কেস দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমার সরেজমিন প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মাধাইনগর সহকারী ভূমি আখতার হোসেন তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে আবু হাসান তাকে সমুদয় টাকা দিয়ে দেন। পরে আখতার হোসেন সত্যকে গোপন করে তার প্রতিপক্ষ আবু হাসেমের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন।
এছাড়াও তিনি একই গ্রামের আছাদুজ্জামান গংদের নিকট থেকে ২১৯, ২৪৩, ৩৯০ ও ৩০২ দাগে ২.১১৫০ একর ভুমি ক্রয় করিয়া খাজনা দিতে গেলে তিনি কর মওকুফের চেক বাতিল করে তার কাছ থেকে ২১ হাজার ৫’শ ৫৭ টাকা অবৈধ ভাবে আদায় করে। তাছাড়াও আবু হাসানের আপন মামা দেলোয়ার হোসেনের নিকট থেকে ‘ক’ তফসিল ভুক্ত ভূমি ‘খ’ তফসিল গেজেট ভুক্ত করার কথা বলে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তিনি ‘ক’ তফসিল হতে ‘খ’ তফসিল ভুক্ত করতে না পারলে টাকা ফেরৎ চাইলে তিনি তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
কৃষক আবু হাসান বলেন, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্তকর্তা আখতার হোসেন কাজ করার কথা বলে আমাদের নিকট থেকে লক্ষধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে বদলী হয়ে চলে গেছেন। আমি বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া সেই জায়গার একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক আমার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। কিন্ত ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্তকর্তা আকতার হোসেনের যোগসাজসে গত ২১ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্তকর্তা আকতার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার আব্দুল খালেক ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেযা সম্ভব হয়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বলেন, অপরাধী যেখানেই থাকুক। তদন্তপূর্ব আইনঅনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।