নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত ।
- আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
- / 94
৭১: করোনাকালের মাঝেই নেপালের বিপক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দিন-তারিখও ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু করোনার কারণেই লম্বা সময় খেলার বাইরে জামাল ভূঁইয়ারা। অল্প প্রস্তুতি নিয়ে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার শঙ্কা আর পরাজয়ের ভয় তো আছেই। তবে চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এসব দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে ফুটবলারদের ‘যুদ্ধে নামার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ফর্টিস-বাফুফে একাডেমি পরিদর্শন করতে গিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে দুই রকম কথা আছে। একটা হচ্ছে খেলোয়াড়রা খেলার মধ্যে নাই, আমরা হারতে পারি। খুবই যৌক্তিক কথা। ছয় মাস ধরে খেলোয়াড়রা খেলে না। একেকজন আমার মতো মোটা হয়ে গেছে, ফিটনেস নাই। হারার একটা ভয় আছে। হারলে পাবলিক……কিন্তু আমার ভাবনা ভিন্ন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেললে হার-জিত আছে। হারব, এই ভয়ে আমি যদি না খেলি, তাহলে তো ফুটবলই শুরু হবে না। তো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় দল দিয়ে এই করোনাভাইরাসের মধ্যে ফুটবলটাকে মাঠে আনার। হার-জিত তো পরের কথা। খেললে হারতেও পারি, জিততেও পারি। কিন্তু হারায় ভয়ে যদি ফুটবল না খেলি, তাহলে এভাবে তো বছরের পর বছর পার করে দিতে পারব। ওটা তো লুকিয়ে থাকা। আমাকে যুদ্ধ করতে হবে। আপনারা হয়ত পছন্দ করবেন না, গালাগালি করবেন কিন্তু আমাকে তো চেষ্টা করেই যেতে হবে।’
করোনায় দীর্ঘদিন ফুটবল বন্ধ থাকার কারণে নেপাল ম্যাচ দিয়ে ফুটবলারদের মাঠে ফেরানোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সালাউদ্দিন, ‘ফুটবল একটা জায়গায় এসেছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আপনারা কাতারের বিপক্ষে ম্যাচ দেখেছেন, ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ দেখেছেন। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ফুটবলকে মাঠে ফেরানোর। খেলোয়াড়দের সাহস দেওয়া যে, আমরা তোমাদের পেশাকে মাঠে আনছি।’
ফর্টিসের সঙ্গে চুক্তি প্রসঙ্গে সাবেক এই ফুটবল সুপারস্টার বলেন, ‘ফর্টিসের সঙ্গে গত বছর আমরা যখন চুক্তি করেছিলাম, তখন তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল, তারা মাঠ, থাকার জায়গা দিবে কিন্তু আমরা কোনো ভাড়া দিব না। একাডেমিটা চালু করতে আমাদের চারজন বিদেশি ও দুজন দেশি কোচ লেগেছে। প্রতিদিনের খাবার দিয়েছি। এগুলো আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়ে বাফুফে পূরণ করেছে। এই ৫/৬ কোটি টাকা বাফুফে যদি দিতে পারে, তাহলে তাদের সঙ্গে একরকম চুক্তি হবে। না দিতে পারলে অন্যরকম চুক্তি হবে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করছি টাকাটা জোগাড় করতে।’