শ্বশুরবাড়িতে নেতিবাচক কিছু না বলাই ভালো।
- আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০
- / 97
৭১: নতুন একটি পরিবেশ পেলে যেমন চিনতে সময় লাগে। যেখানে ইচ্ছা হলে যা মেনে চায় তা করা যায় না। তেমনই একটা জায়গা সেটা হলো শ্বশুরবাড়ি। যদিও মেয়েরা সেই নতুন পরিবেশে দ্রুতই মানিয়ে নেয়। কারণ সে তখন সেই পরিবারের একজন হয়ে যায়। তেমনই জামাই হলো স্ত্রীর বাবার বাড়িতে নতুন একজন সদস্য। যদিও জামাই তার শ্বশুর বাড়িতে কম থাকে। তবে মাঝে মাঝে গেলেও যেন আপনার কোনো কথায় কোনোরকম অশান্তির সৃষ্টি না হয় বা কারো খারাপ না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জামাইদের উচিত কিছু কথা না বলা। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী-
শ্বশুর হয়তো তার সাধ্য অনুযায়ী একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করেছেন। আপনি গিয়েই তার খুঁত ধরা শুরু করবেন না। যেমন বাড়ির প্ল্যান ঠিক হয়নি, রং সুন্দর হয়নি- এমন নেতিবাচক কিছু না বলাই ভালো। কারণ সেই বাড়ির পেছনে আপনার শ্বশুরের পরিশ্রম এবং অর্থ ব্যয় হয়েছে। তাই যেটুকু সময় থাকবেন, আনন্দ নিয়ে থাকুন। অযথা সমালোচনা এড়িয়ে যান।
আপনার স্ত্রী আপনার শ্বশুরের কন্যা। তার সাথে সম্পর্ক জন্ম থেকেই। তাই আপনার কাছ থেকে নিজের মেয়ের সম্পর্কে কোনো নিন্দা সে শুনতে চাইবে না। তাই স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরের কাছে কোনোরকম অভিযোগ জানাতে যাবেন না ৷ কারণ বাবাদের কাছে মেয়েরা এমনিতেই প্রিয় ৷ সেখানে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নিজের স্ত্রী-র সমালোচনা করা একেবারেই ভালো নয়।
জামাই মানে অল্পদিনের অতিথি। তাই তারা যখন শ্বশুরবাড়ি যায় তখন এমনিতেই তাদের জন্য সেরা খাবারেরই আয়োজন করা হয়ে থাকে ৷ শ্বশুরমশাই বা শাশুড়ি চেষ্টা করেন সেরা মাছ, মাংস বা মিষ্টিটা জামাইকে খাওয়াতে ৷ তাই খাবার নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করতে যাবেন না ৷
মেয়ের বাবা-মায়েরা নিজের মেয়েকে নিয়ে সব সময় একটু দুশ্চিন্তাই করেন। এমনিতেই তাদের মেয়ে সবাইকে ছেড়ে আপনার সঙ্গে থাকছে। আপনাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই শ্বশুর-শাশুড়ি কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। আপনি যতোই উপার্জন করুন না কেন তা শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছে একটু কম লাগতেই পারে ৷ তাই শ্বশুর বা শাশুড়ি আপনাকে এ নিয়ে কোনো পরামর্শ দিলে শুনবেন ৷ মাথা গরম করবেন না ৷