ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অশনি সংকেত অর্থনীতিতে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
  • / 163

বাংলাদেশে ধনী-গরিবের আয়বৈষম্য কোনোভাবেই কমছে না। দিন যতই যাচ্ছে, বৈষম্য ততই বাড়ছে। এ বৈষম্য যদি না কমে, তাহলে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে তারা মনে করেন, দেশে যেভাবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে যদি সেটা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে এ বৈষম্য অনেকাংশে কমে আসবে।

বিবিএসের হিসাবে দেশে আয়বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দেখা যায়, বাংলাদেশে সবচেয়ে গরিব প্রায় পৌনে ২০ লাখ পরিবারের প্রতি মাসের গড় আয় মাত্র ৭৪৬ টাকা। এ হিসাবে দেশে গরিব পরিবার পাঁচ শতাংশ। একইভাবে সবচেয়ে ধনী পরিবার পাঁচ শতাংশ। দেশে ধনী পরিবার রয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার। যাদের মাসিক গড় আয় ৮৯ হাজার টাকা।

এ প্রেক্ষিতে দেশের সবচেয়ে হতদরিদ্র পরিবারের চেয়ে সবচেয়ে ধনীরা প্রায় ১১৯ গুণ বেশি আয় করে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছু পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে। যা অর্থনীতির জন্য খুবই খারাপ। এ বৈষম্য কিভাবে দূর করা যায়, সে বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সাক্ষাতকার

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কমাতে হবে: ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক)
প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির দিকে বর্তমানে বেশি খেয়াল করা হচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিক আয় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। যে কারণে ধনী-গরিবের আয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলতে পারি। দেশের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সেটা আমাদের কমাতে হবে। পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাজের সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামোগত উন্নয় হলেই চলবে না। সেই সাথে সামাজিক, পারিবারিক ও মানবিক উন্নয়ন হতে হবে। তা হলেই আমরা উন্নত দেশ হতে পারব। সুতরাং আয়বৈষম্য কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে: ড. মো. আইনুল ইসলাম (চেয়ারম্যান, অর্থনীতি বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান যে অভিযান আছে, সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে ধনী-গরিবের মধ্যে আয়বৈষম্য কমে আসবে। অন্যদিকে একটি দেশ যখন উন্নয়নের দিকে যায়, তখন এরকম একটি বৈষম্য থাকে। কারণ তখন ধনী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট পেতে থাকে। এখান থেকে তাদের আয়টা গরিবদের তুলনায় অনেক বেশি হয়।

তবে এটা কিছুদিন পর কমে যাবে বলে আশা রাখি। তবে দুর্নীতির বিষয়টা অবশ্যই নীতি নির্ধারকদের খেয়াল রাখতে হবে। এটা বৈষম্যের অন্যতম কারণ। গরিব পরিবার যেন কাজের সুবিধা পায় সে দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি সুশাসন বাড়াতে হবে এবং দুর্নীতি কমাতে হবে। তা হলেই ধীরে ধীরে এ বৈষম্য কমে আসবে বলে আশা রাখি।

এদিকে গিনি সহগের মাধ্যমে আয়বৈষম্য চিহ্নিত করা হয়। ২০১০ সালে গিনি সহগ ছিলো শূন্য দশমিক ৪৫৮। ২০১৬ সালে এসে দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৪৮৩। অবশ্য প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটি ছিলো শূন্য দশমিক ৪৮২। এর মানে, গত ছয় বছরে বাংলাদেশের মানুষের আয় ও সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে। কোনো দেশের গিনি সহগ শূন্য দশমিক ৫০-এর বেশি হলে সে দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ এর কাছাকাছি রয়েছে।

বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে সব মিলিয়ে তিন কোটি ৯৩ লাখ ২৯ হাজার পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশ বা ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৩২টি পরিবারে সাড়ে ৬১ লাখ সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে উপার্জনকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখ। এই দরিদ্র শ্রেণির প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ৭৪৬ টাকা। এই হলো দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষের আয়ের চিত্র। অবশ্য এটি ওই সব পরিবারের প্রকৃত আয় নয়।

ওই সব পরিবারের মোট আয়কে পরিবার প্রতি ভাগ করে এ হিসাব করা হয়েছে। এবার একটু ভিন্ন চিত্র দেখি। দেশের সবচেয়ে ধনী ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১১০টি পরিবারের প্রায় ৩২ লাখ সদস্য উপার্জন করেন। এই শ্রেণির বিত্তবান পরিবারের মাসিক গড় আয় ৮৯ হাজার ছয় টাকা।

দেশের মানুষের মোট আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ যায় এই ধনিক শ্রেণির কাছে। আর সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশ পরিবারের আয়ের অংশ মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ দিবস পালন করে আসছে।

১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ১৭ অক্টোবরকে এ দিবসের মর্যাদা দেয়া হয়। বিবিএসের হিসাব ধরে প্রতি বছর পরিকল্পনা কমিশন দারিদ্র্যের হারের একটি অনুমিত হিসাব করে থাকে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুন মাস শেষে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আর প্রথমবারের মতো অতিদরিদ্রের হার একক অঙ্কে বা ৯ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে।

গরিব সক্ষম লোকদের কাজে লাগাতে হবে: আহসান এইচ মনসুর (বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, ব্রাক ব্যাংক)
দেশের গরিব ও ধনীদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য অনেক বেশি এ কথাটা যেমন সত্য, তার চেয়ে সত্য হচ্ছে— গরিব হতদরিদ্রদের অধিকাংশই হচ্ছে অক্ষম। তারা নিজেরা কাজ করতে পারে না। সরকারি-বেসরকারি ভাতার উপর তারা নির্ভর করে। পক্ষান্তরে ধনী পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে কর্মক্ষম।

সুতরাং এ বৈষম্য দূর করতে হলে হতদরিদ্র পরিবারের সক্ষম সদস্যদের কাজে লাগাতে হবে। নেশাগ্রস্ত কোনো ব্যক্তিকে ভাতা দেয়া ঠিক হবে না। সেই সাথে সক্ষম কোনো পরিবার যেন ভাতার আওতায় না আসে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি সঠিক অর্থনীতি প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে ধীরে ধীরে এ বৈষম্য কমে আসবে।


Tag :

শেয়ার করুন

অশনি সংকেত অর্থনীতিতে

আপডেট টাইম : ০৯:৩৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশে ধনী-গরিবের আয়বৈষম্য কোনোভাবেই কমছে না। দিন যতই যাচ্ছে, বৈষম্য ততই বাড়ছে। এ বৈষম্য যদি না কমে, তাহলে অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে তারা মনে করেন, দেশে যেভাবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে যদি সেটা অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে এ বৈষম্য অনেকাংশে কমে আসবে।

বিবিএসের হিসাবে দেশে আয়বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দেখা যায়, বাংলাদেশে সবচেয়ে গরিব প্রায় পৌনে ২০ লাখ পরিবারের প্রতি মাসের গড় আয় মাত্র ৭৪৬ টাকা। এ হিসাবে দেশে গরিব পরিবার পাঁচ শতাংশ। একইভাবে সবচেয়ে ধনী পরিবার পাঁচ শতাংশ। দেশে ধনী পরিবার রয়েছে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার। যাদের মাসিক গড় আয় ৮৯ হাজার টাকা।

এ প্রেক্ষিতে দেশের সবচেয়ে হতদরিদ্র পরিবারের চেয়ে সবচেয়ে ধনীরা প্রায় ১১৯ গুণ বেশি আয় করে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছু পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে। যা অর্থনীতির জন্য খুবই খারাপ। এ বৈষম্য কিভাবে দূর করা যায়, সে বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সাক্ষাতকার

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার কমাতে হবে: ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক)
প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির দিকে বর্তমানে বেশি খেয়াল করা হচ্ছে। কিন্তু সামগ্রিক আয় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। যে কারণে ধনী-গরিবের আয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলতে পারি। দেশের বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে সেটা আমাদের কমাতে হবে। পাশাপাশি ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাজের সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামোগত উন্নয় হলেই চলবে না। সেই সাথে সামাজিক, পারিবারিক ও মানবিক উন্নয়ন হতে হবে। তা হলেই আমরা উন্নত দেশ হতে পারব। সুতরাং আয়বৈষম্য কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে: ড. মো. আইনুল ইসলাম (চেয়ারম্যান, অর্থনীতি বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান যে অভিযান আছে, সেটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে ধনী-গরিবের মধ্যে আয়বৈষম্য কমে আসবে। অন্যদিকে একটি দেশ যখন উন্নয়নের দিকে যায়, তখন এরকম একটি বৈষম্য থাকে। কারণ তখন ধনী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট পেতে থাকে। এখান থেকে তাদের আয়টা গরিবদের তুলনায় অনেক বেশি হয়।

তবে এটা কিছুদিন পর কমে যাবে বলে আশা রাখি। তবে দুর্নীতির বিষয়টা অবশ্যই নীতি নির্ধারকদের খেয়াল রাখতে হবে। এটা বৈষম্যের অন্যতম কারণ। গরিব পরিবার যেন কাজের সুবিধা পায় সে দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি সুশাসন বাড়াতে হবে এবং দুর্নীতি কমাতে হবে। তা হলেই ধীরে ধীরে এ বৈষম্য কমে আসবে বলে আশা রাখি।

এদিকে গিনি সহগের মাধ্যমে আয়বৈষম্য চিহ্নিত করা হয়। ২০১০ সালে গিনি সহগ ছিলো শূন্য দশমিক ৪৫৮। ২০১৬ সালে এসে দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৪৮৩। অবশ্য প্রাথমিক প্রতিবেদনে এটি ছিলো শূন্য দশমিক ৪৮২। এর মানে, গত ছয় বছরে বাংলাদেশের মানুষের আয় ও সম্পদ বৈষম্য বেড়েছে। কোনো দেশের গিনি সহগ শূন্য দশমিক ৫০-এর বেশি হলে সে দেশকে উচ্চ বৈষম্যের দেশ হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ এর কাছাকাছি রয়েছে।

বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে সব মিলিয়ে তিন কোটি ৯৩ লাখ ২৯ হাজার পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশ বা ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৩২টি পরিবারে সাড়ে ৬১ লাখ সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে উপার্জনকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখ। এই দরিদ্র শ্রেণির প্রতি পরিবারের মাসিক গড় আয় ৭৪৬ টাকা। এই হলো দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষের আয়ের চিত্র। অবশ্য এটি ওই সব পরিবারের প্রকৃত আয় নয়।

ওই সব পরিবারের মোট আয়কে পরিবার প্রতি ভাগ করে এ হিসাব করা হয়েছে। এবার একটু ভিন্ন চিত্র দেখি। দেশের সবচেয়ে ধনী ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১১০টি পরিবারের প্রায় ৩২ লাখ সদস্য উপার্জন করেন। এই শ্রেণির বিত্তবান পরিবারের মাসিক গড় আয় ৮৯ হাজার ছয় টাকা।

দেশের মানুষের মোট আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ যায় এই ধনিক শ্রেণির কাছে। আর সবচেয়ে গরিব পাঁচ শতাংশ পরিবারের আয়ের অংশ মাত্র শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য দূরীকরণ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ দিবস পালন করে আসছে।

১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ১৭ অক্টোবরকে এ দিবসের মর্যাদা দেয়া হয়। বিবিএসের হিসাব ধরে প্রতি বছর পরিকল্পনা কমিশন দারিদ্র্যের হারের একটি অনুমিত হিসাব করে থাকে। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জুন মাস শেষে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ১৯ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আর প্রথমবারের মতো অতিদরিদ্রের হার একক অঙ্কে বা ৯ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে।

গরিব সক্ষম লোকদের কাজে লাগাতে হবে: আহসান এইচ মনসুর (বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, ব্রাক ব্যাংক)
দেশের গরিব ও ধনীদের মধ্যে আয়ের বৈষম্য অনেক বেশি এ কথাটা যেমন সত্য, তার চেয়ে সত্য হচ্ছে— গরিব হতদরিদ্রদের অধিকাংশই হচ্ছে অক্ষম। তারা নিজেরা কাজ করতে পারে না। সরকারি-বেসরকারি ভাতার উপর তারা নির্ভর করে। পক্ষান্তরে ধনী পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে কর্মক্ষম।

সুতরাং এ বৈষম্য দূর করতে হলে হতদরিদ্র পরিবারের সক্ষম সদস্যদের কাজে লাগাতে হবে। নেশাগ্রস্ত কোনো ব্যক্তিকে ভাতা দেয়া ঠিক হবে না। সেই সাথে সক্ষম কোনো পরিবার যেন ভাতার আওতায় না আসে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা যদি সঠিক অর্থনীতি প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে ধীরে ধীরে এ বৈষম্য কমে আসবে।