বাংলাদেশ না খেলায় হতাশ আর্থার
- আপডেট টাইম : ০৬:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
- / 93
৭১: করোনাকালে শ্রীলঙ্কার বেঁধে দেওয়া কঠিন শর্ত মেনে নিতে না পেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) না করে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা সফর। ফলে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজটির সব প্রস্তুতি ভেস্তে যায়। শর্তটা ছিল শ্রীলঙ্কায় নামার পর মুমিনুলদের ১৪ দিনের আইসোলেশন বাধ্যতামূলক। তাতে যে একজন ক্রিকেটারের সব পূর্ব প্রস্তুতিই ভেস্তে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই দুই সপ্তাহে ক্রিকেটীয় আচরণ ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু করোনাভাইরাসের ওপর কড়া নজরদারি ছিল শ্রীলঙ্কা সরকারের। শর্তে কোনো ধরনের নতজানু হয়নি তারা। ফলে যা হওয়ার, সিরিজটিই ভেস্তে গেছে। এতে শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরই ক্ষতি হয়নি, হয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদেরও। দ্বীপ রাষ্ট্রটি করোনামুক্ত হলেও দেশে ফেরাতে পারেনি ক্রিকেট। আর তাই কিছুটা হতাশই হয়েছেন শ্রীলঙ্কান জাতীয় দলের কোচ মিকি আর্থার।
করোনাকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার জন্য তার দল লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করেছিল, প্রায় চার মাস। কিন্তু কঠোর অনুশীলন করার পরও খেলতে না পারাটা হতাশা লাগারই কথা। তেমনি অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন কোচ মিকি আর্থার।
এক সংবাদ সংস্থাকে আর্থার বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা সিরিজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। কোভিড বিরতির পর সেরা এবং সবচেয়ে প্রস্তুত দল হওয়ার লক্ষ্য তাদের দিয়েছিলাম। কিন্তু লক্ষ্য ছাড়া অনুশীলন করা খুবই কঠিন। বাংলাদেশের সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় আমরা সত্যি খুব হতাশ হয়েছি। আমরা চার মাস ধরে অনুশীলন করছি, খেলোয়াড়রাও সবাই প্রস্তুত।’
শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা। তবে এ জটিলতা কাটুকণ্ড এমনটা চান লঙ্কান কোচ মিকি আর্থার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত হওয়ায় হতাশ এ কোচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। তার বিশ্বাস ইংল্যান্ড শ্রীলঙ্কা সফরে আসবে। এ বছর মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা হয়নি।
স্থগিত হওয়া সেই সিরিজটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিসিবির মতো শ্রীলঙ্কার কঠোর কোয়ারান্টিনের শর্ত মানতে চাচ্ছে না ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও। তবে শ্রীলঙ্কার সরকার ইংল্যান্ডের এ সফরটির জন্য কোয়ারান্টিন নিয়ম শিথিল করবে- এমনটা আশা করছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।
শ্রীলঙ্কাকে ক্রিকেটে ফেরাতে মরিয়া আর্থার নিজেও। তার মতে ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে খেলতে চায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
বার্তা সংস্থা পিএকে আর্থার বলেছেন, ‘আশা করছি, ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার (মাঠের) সিরিজ এবং এখানে (শ্রীলঙ্কা) ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ২০২১ সালের ব্যস্ত সূচি শুরু করতে পারব। আমি সত্যি ইতিবাচক। আমাদের এখন ক্রিকেটে ফেরাটা জরুরি। এখানে শ্রীলঙ্কায় খেলা চালিয়ে নিতে শক্তিশালী ব্যবস্থা রয়েছে।’
শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রশংসাও ঝরেছে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের কণ্ঠে, ‘সরকার দারুণ কাজ করেছে। এখন আমরা বাইরে যেতে পারছি, রেস্টুরেন্টে খেতে পারছি। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই।’
আবার সরকারের কড়াকড়ির কারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কথাও শুনিয়েছেন আর্থার। যার ফলে বাংলাদেশ সফরটি বাতিলও হয়ে যায়।
যদিও ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) একই ধরনের শর্ত দেওয়ার আশঙ্কা কম। স্কাই স্পোর্টসের খবর, শর্ত শিথিল করে ডাম্বুলায় দুই সপ্তাহের কোয়ারান্টিনে ‘রিমোট স্টেডিয়ামের’ ব্যবস্থার মাধ্যমে জো রুটদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হতে পারে।