ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুরের ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • / 102

৭১: ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১৪ অক্টোবর)  ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলাটি করেন এক ছাত্রী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৫ ধারার মতে,  নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ আখ্যায়িত করায় মামলাটি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের সেই শিক্ষার্থী।

তিনি এর আগে নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা, চরিত্র হনন ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছিলেন।

এ আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা মামলার আরজিতে দুইজনকে সাক্ষী করা হয়েছে। বিচারক ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি নিয়েছেন, এখনও কোনও আদেশ দেননি।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনও ডিজিটাল মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনও তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা; কোনও ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে তিনি যদি তা প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৯ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনও ওয়েবসাইট বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩১ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা কোনো ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটবার উপক্রম হয়, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড, বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

Tag :

শেয়ার করুন

নুরের ৩ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে!

আপডেট টাইম : ০৫:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

৭১: ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১৪ অক্টোবর)  ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলাটি করেন এক ছাত্রী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৫ ধারার মতে,  নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক লাইভে এসে ধর্ষণ মামলার বাদীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ আখ্যায়িত করায় মামলাটি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের সেই শিক্ষার্থী।

তিনি এর আগে নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা, চরিত্র হনন ও সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছিলেন।

এ আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা মামলার আরজিতে দুইজনকে সাক্ষী করা হয়েছে। বিচারক ওই শিক্ষার্থীর জবানবন্দি নিয়েছেন, এখনও কোনও আদেশ দেননি।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনও ডিজিটাল মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনও তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা; কোনও ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে তিনি যদি তা প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

২৯ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কেউ কোনও ওয়েবসাইট বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক বিন্যাসে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৩১ ধারায় বলা হয়েছে, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা কোনো ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যা বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটবার উপক্রম হয়, তাহলে তিনি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড, বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।