তিন পণ্যেরই দাম কমেছে
- আপডেট টাইম : ১০:৪৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
- / 130
নিউজ লাইট ৭১: অর্থবছরের তৃতীয় মাস চলছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত বাজারে কোনো স্বস্তির খবর ছিল না। বরং গত বছরের রেশ ধরে এ বছরের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম চড়া। এর মধ্যে জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে মসলা জাতীয় পণ্য। তবে এ সপ্তাহে প্রথম স্বস্তির খবরও এসেছে ওইসব পণ্যেই। গত এক সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজ-রসুন-আদা— এ তিন পণ্যেরই দাম কমেছে।
এ তিনটি পণ্যেরই এখন মৌসুম চলছে। বাজারে বেড়েছে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ। এরই মধ্যে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। এতে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া নতুন আদা ও রসুন বাজারে আসায় এসব পণ্যের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত।
এ তিনটি প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বাজারে যে ভয়ানক অস্বস্তি ছিল, তা কাটতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করা ও করোনা ভাইরাসের কারণে আদা-রসুনের বাজারে এ দুরবস্থা চলছিল। গত পাঁচ মাস পেঁয়াজ ও তিন মাস আদা-রসুন ব্যাপক চড়া দামে কিনতে হয় সাধারণ মানুষকে। যদিও অন্য বছরের হিসাবে এখনো পণ্য তিনটির দাম স্বাভাবিক হয়নি।
গত ডিসেম্বরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১৫০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে ছিল। একই অবস্থা ছিল আদা ও রসুনের। প্রতি কেজি ১৫০ টাকার নিচে নামেনি কিছুই। এতে প্রতি মাসের জন্য একটি পরিবারকে এ তিন পণ্য কিনতে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। এটা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার মতো। গতকাল সেগুনবাগিচা বাজারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এরফানুল্লাহ নামের এক ক্রেতা বলেন, মাসের বাজার করতে গিয়ে গত মাসে মসলা কিনতে হয়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকার। এর মধ্যে চার কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি রসুন ও দেড় কেজি আদা ছাড়া দু-একটা মসলা ছিল। অল্প আয়ের সংসারে এটা যে কত বড় চাপ সেটা আমরাই বুঝি। তিনি বলেন, এখন দাম একটু কমায় ওইসব বাজার হাজার টাকার মধ্যেই হয়েছে। যদিও দামটা এখনো অনেক বেশি। তবে কিছুটা কমেছে, সেটাতেই স্বস্তি পাচ্ছি।
গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য (তুরস্ক ও পাকিস্তান) দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম আরো ১০-২০ টাকা কম। আর দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি থাকায় ওইসব পেঁয়াজের কাটতি নেই বললেই চলে।
অন্যদিকে বাজারে এখন প্রচুর দেশি রসুন এসেছে। সেসব নতুন রসুনের কেজি ৮০-১০০ টাকা মধ্যে। যেখানে কয়েক দিন আগে ১৫০ টাকার নিচে রসুন মিলত না। আর এর প্রভাবে কমেছে চীনা রসুনের দামও। ২০০ টাকা থেকে নেমে তা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে আদার দাম ১৪০-১৬০ থেকে কমে ১০০-১২০ টাকায় এসেছে।
তবে এর বাইরে আর কোনো সুখবর নেই। চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও গত কয়েক সপ্তাহের বর্ধিত দামেই রয়ে গেছে। এতে প্রতি কেজি মিনিকেট এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নাজির ৫৫-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চাল কিনতে হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়।
অন্যদিকে কমেনি তেল-চিনিসহ ডাল ও ছোলার দাম। বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ইতোমধ্যে ৭০ টাকা ছুঁইছুঁই করছে, যা সারা বছর ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ছিল। এছাড়া প্রতি কেজি ডাল ও ছোলার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা।