পিঠের মেদ ঝরিয়ে পান সুগঠিত দেহ
- আপডেট টাইম : ১১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
- / 146
আপনার কাঙ্খিত ফ্যাশন মুহূর্তেই মাটি করে দিতে পারে পিঠের মেদ। বাড়তি মেদে হল্টারনেক পোশাকের আকর্ষণ যেমন মাঠে মারা যায়, তেমনই যে কোনও ডিপ কাট ডিজাইনারের পোশাকের সৌন্দর্যও নষ্ট হয় এর প্রভাবে। ডায়েট-শরীরচর্চার দ্বারা শরীরের সার্বিক মেদ নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঠিকই, কিন্তু পিঠের মেদ কমানোর জন্য দরকার আলাদা পদ্ধতি। নিয়মিত ডায়েট, শরীরচর্চা বা খেলাধূলার পাশাপাশি রুটিনে ঢুকিয়ে নিতে হবে বিশেষ কিছু ব্যায়াম।
পিঠের পেশী যত টানটান হবে, ততই পিঠের মেদ ঝরবে, শরীর টোনড হবে ও পিঠ সুগঠিক হবে। অনেক মহিলারাই ভেবে নেন, ওয়েট ট্রেনিংয়ে পেশী বেশি কঠিন হয়ে চেহারা পুরুষালী হয়ে যাবে, এই ধারণা ঠিক নয়, বরং ওয়েট ট্রেনিংয়ে পিঠের মেদ অনেকটাই ঝরে যায়। চক্রাসন, নিলিং রেয়ার ফ্লাই, লেগ ডেড লিফ্টের মতো নানা ব্যায়ামই পিঠের মেদ কমাতে উল্লেখযোগ্য কাজ করে। পিঠের মেদ ঝরাতে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে জেনে নিন।
স্ট্রেট লেগ ডেড লিফট: এক লিটারের দুটি এক লিটারের জলভরা বোতল দুই হাতে নিন। সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটো শরীরের পাশে রাখুন বোতল-সমেত। এ বার সামনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করুন। ওজনও নামবে পায়ের দিকে কিন্তু মাটি ছোঁবে না। হাঁটু ভাঙলেও কোমর থেকে মাথার অংশ যেন মাটির সমান্তরালে থাকে। আবার ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরুন। ২০ বারে একটা সেট হয়। এই ব্য়ায়াম তিন সেট করুন রোজ।
নিলিং রেয়ার ফ্লাই: ম্যাটের উপর পা ভাঁজ করে হাঁটু মুড়ে বসুন। কোমর থেকে উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। দু’ হাতে রাখুন এক লিটারের জলের বোতল। মাটির দিকে ঝুঁকে বোতল-সহ হাত রাখুন মাটির উপর। এমন একটা আকার দাঁড়াবে, যেন মেঝের সঙ্গে একটা সমকোণ তৈরি হয়েছে। এ বার এক হাত বোতল-সমেত পাশে টান করুন। আর এক হাক তখনও বোতল ধরে মাটিতেই থাকবে। মনে মনে ১০ গুণে একই কাজ হাত পাল্টে করুন। এক একটি হাতে তিন বার করে করুন।
চক্রাসন: এই আসনটি প্রায় সব স্কুলেই যোগাসনের ক্লাসে অভ্যাস করানো হত। টানটান হয়ে শুয়ে পড়ে হাঁটু মুড়ে আনুন। এ বার দুই হাত কনুই থেকে ভাঁজ করে কাঁধের পাশে রাখুন। হাতের তালু ও পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। এই আসন অনেকটাই আর্চের কাছাকাছি। আর্চের কায়দাই শুয়ে করলে তা চক্রাসন। এতে পিঠের মেদ কমে হু হু করে। আর্চের শেপে ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। শরীরচর্চায় নতুন হলে, সময় না বিচার করে, যতক্ষণ কষ্ট না করে পারছেন, ততক্ষণই করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।