ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ মুহূর্তে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মেলায়

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 106

নিউজ লাইট ৭১: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। শেষ মুহূর্তে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মেলায়। শেষ দিকে এসে রাজধানীবাসীর ঢল যেন এখন বাৎসরিক এই আয়োজনে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঠাসা ভিড়ে বিকিকিনিও জমজমাট।

এদিকে মেলার শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে ঘাম ঝরছে বিক্রেতাদের। গৃহস্থালি, আসবাবপত্র, প্রসাধনী, জুতা, শীতের কাপড়, শাড়ি, খেলনা, খাবার, হস্তশিল্প, জুয়েলারিসহ সব স্টলেই গতকাল ছিলো লোকে লোকারণ্য।

বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিলো গত শুক্রবার। ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় দুই দফা বাড়িয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সে হিসেবে আজ শেষ হচ্ছে বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর।

এদিকে মেলার শেষদিকে গতকাল ছিলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আর এসব ক্রেতাকে টানতে বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছে অফারের ছড়াছড়ি। গতকাল সকাল থেকেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় আর ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগমে মুখরিত ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ।

প্রতিটি স্টল-প্যাভিলিয়নেই ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বিক্রেতাদের। মেলা শেষ হওয়ার মাত্র একদিন বাকি থাকায় ক্রেতাদের মধ্যেও যেমন ছিলো প্রয়োজনীয় পণ্যটি কেনার তাড়া। তেমনি বিক্রেতাদের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত যতটা সম্ভব নিজেদের পণ্য বিক্রি করেই মেলা শেষ করার তাগাদা।

মেলায় আগত দর্শনার্থীরা জানান, বাণিজ্য মেলায় প্রায় সব কোম্পানিই অংশ নেয় বলে প্রতিটি কোম্পানিই চেষ্টা করে নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য নিয়ে আসতে। তাদের পর্যবেক্ষণ, মেলায় এমন অনেক পণ্যই থাকে যেগুলো বছরের অন্য সময় পাওয়া যায় না। নতুন ডিজাইনের হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা বেশি। তাই স্টক শেষ হওয়ার আগেই ক্রেতারা তা কিনে নিচ্ছেন।

আর মেলায় প্রতিযোগিতামূলক দামের বিষয়টিও মাথায় থাকে সব ক্রেতাদেরই। মেলায় প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম থাকলেও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

আর সব স্টলেই মানুষের ভিড় থাকলেও গৃহসামগ্রীর স্টল ও প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিলো একটু বেশিই। দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোও পিছিয়ে ছিলো না এ ক্ষেত্রে।

মেলা-ফিরতি মানুষের হাতেও গৃহস্থালি পণ্যই বেশি দেখা গেছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য, প্রেশার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যান প্রভৃতি।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার শুরু থেকেই স্টলগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের ছাড় ও অফারের ছড়াছড়ি থাকলেও শেষদিকে এসে তা আরও বেড়েছে। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো যেন ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, মেলার শেষ দিনে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। মেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এ বছর বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। তবে সময় আরও কয়েকটা দিন বাড়লে ভালো হতো বলে তিনি মনে করছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো মেলায় তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি এবং উপহার সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকের তৈজসপত্র, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস, হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য এবং খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী এবং আসবাবপত্রের স্টল ছিলো। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।

Tag :

শেয়ার করুন

শেষ মুহূর্তে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মেলায়

আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ মুহূর্তে ক্রেতা-দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। শেষ মুহূর্তে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মেলায়। শেষ দিকে এসে রাজধানীবাসীর ঢল যেন এখন বাৎসরিক এই আয়োজনে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঠাসা ভিড়ে বিকিকিনিও জমজমাট।

এদিকে মেলার শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে ঘাম ঝরছে বিক্রেতাদের। গৃহস্থালি, আসবাবপত্র, প্রসাধনী, জুতা, শীতের কাপড়, শাড়ি, খেলনা, খাবার, হস্তশিল্প, জুয়েলারিসহ সব স্টলেই গতকাল ছিলো লোকে লোকারণ্য।

বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার কথা ছিলো গত শুক্রবার। ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেলার সময় দুই দফা বাড়িয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সে হিসেবে আজ শেষ হচ্ছে বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর।

এদিকে মেলার শেষদিকে গতকাল ছিলো ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আর এসব ক্রেতাকে টানতে বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছে অফারের ছড়াছড়ি। গতকাল সকাল থেকেই শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় আর ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগমে মুখরিত ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ।

প্রতিটি স্টল-প্যাভিলিয়নেই ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বিক্রেতাদের। মেলা শেষ হওয়ার মাত্র একদিন বাকি থাকায় ক্রেতাদের মধ্যেও যেমন ছিলো প্রয়োজনীয় পণ্যটি কেনার তাড়া। তেমনি বিক্রেতাদের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত যতটা সম্ভব নিজেদের পণ্য বিক্রি করেই মেলা শেষ করার তাগাদা।

মেলায় আগত দর্শনার্থীরা জানান, বাণিজ্য মেলায় প্রায় সব কোম্পানিই অংশ নেয় বলে প্রতিটি কোম্পানিই চেষ্টা করে নতুন নতুন ডিজাইনের পণ্য নিয়ে আসতে। তাদের পর্যবেক্ষণ, মেলায় এমন অনেক পণ্যই থাকে যেগুলো বছরের অন্য সময় পাওয়া যায় না। নতুন ডিজাইনের হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা বেশি। তাই স্টক শেষ হওয়ার আগেই ক্রেতারা তা কিনে নিচ্ছেন।

আর মেলায় প্রতিযোগিতামূলক দামের বিষয়টিও মাথায় থাকে সব ক্রেতাদেরই। মেলায় প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম থাকলেও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।

আর সব স্টলেই মানুষের ভিড় থাকলেও গৃহসামগ্রীর স্টল ও প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিলো একটু বেশিই। দেশি-বিদেশি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোও পিছিয়ে ছিলো না এ ক্ষেত্রে।

মেলা-ফিরতি মানুষের হাতেও গৃহস্থালি পণ্যই বেশি দেখা গেছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য, প্রেশার কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেন, রাইস কুকার, ইস্ত্রি, ইন্ডাকশন চুলা, ফ্যান প্রভৃতি।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার শুরু থেকেই স্টলগুলোতে বিভিন্ন পণ্যের ছাড় ও অফারের ছড়াছড়ি থাকলেও শেষদিকে এসে তা আরও বেড়েছে। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো যেন ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

এশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, মেলার শেষ দিনে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। মেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এ বছর বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। তবে সময় আরও কয়েকটা দিন বাড়লে ভালো হতো বলে তিনি মনে করছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারো মেলায় তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি এবং উপহার সামগ্রী, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকের তৈজসপত্র, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস, হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য এবং খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী এবং আসবাবপত্রের স্টল ছিলো। আগের বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে বলে তিনি জানান।