ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু হাই-টেকে বায়োটেক নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • / 137

‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ব্লক-২ এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওরিক্স ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে।

আজ রোববার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় বায়ো-টেক প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, জাপানে বায়ো-টেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মূলত হিউম্যান প্লাজমা থেকে বায়ো-টেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এবং ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়ো-টেক ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধে এর ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চতর প্রযুক্তির এ বায়ো-প্রোডাক্ট তথা জৈব পণ্য উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া। ওরিক্স বছরে ১২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এ ক্ষেত্রে চীনের বৃহত্তম বায়ো-টেক প্রতিষ্ঠান সিনো ফার্মের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সময় এবং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ওরিক্সকে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেন এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

হাই-টেক পার্ক সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ব্লক ২ ও ৫ এ মোট ৯১ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড। সামিটের কাছ থেকেই জমি পাচ্ছে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড।

ওরিক্সের পর আজই নেটওয়ার্ল্ড হোল্ডিংস লিমিটেড নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সামিট। এর আওতায় কোম্পানিটি দুই একর জায়গায় এমআইসিআর চেক বুক উৎপাদন, ক্লাউড সার্ভিস এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে প্রাথমিকভাবে এক কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

শেয়ার করুন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেকে বায়োটেক নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স

আপডেট টাইম : ১০:৫০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি’-তে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ব্লক-২ এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে। হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে ওরিক্স ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে।

আজ রোববার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় বায়ো-টেক প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, জাপানে বায়ো-টেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মূলত হিউম্যান প্লাজমা থেকে বায়ো-টেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এবং ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়ো-টেক ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধে এর ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চতর প্রযুক্তির এ বায়ো-প্রোডাক্ট তথা জৈব পণ্য উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া। ওরিক্স বছরে ১২০০ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে আগ্রহী। একই সঙ্গে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এ ক্ষেত্রে চীনের বৃহত্তম বায়ো-টেক প্রতিষ্ঠান সিনো ফার্মের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সময় এবং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ওরিক্সকে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেন এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

হাই-টেক পার্ক সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির ব্লক ২ ও ৫ এ মোট ৯১ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড। সামিটের কাছ থেকেই জমি পাচ্ছে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড।

ওরিক্সের পর আজই নেটওয়ার্ল্ড হোল্ডিংস লিমিটেড নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে সামিট। এর আওতায় কোম্পানিটি দুই একর জায়গায় এমআইসিআর চেক বুক উৎপাদন, ক্লাউড সার্ভিস এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে প্রাথমিকভাবে এক কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।