ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীর গরম রাখার উপায়

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / 97

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: বাড়ছে শীত। কাঁপছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ। কনকনে হিম বয়ে আনা বাতাসে উঠছে হাড় কাঁপুনি। আর শীত সবচেয়ে বেশি পড়ছে রাজধানীতে। ঢাকাবাসী দিনেও মোটা কাপড় ছাড়া বের হতে পারছেন না।

শীতকালে বাড়ির বাইরে আরাম খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে বিজ্ঞান। প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে তাপের পরিবহন এবং পরিচলন। আপনি যখন ঠাণ্ডা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তার সংস্পর্শে আপনার পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া হলো পরিবহন।

আবার ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আপনার নাকের ডগা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াটা হলো পরিচলন। এবার দেখুন এই দুইটি জিনিস বুঝে কীভাবে নিজেকে দিব্যি গরম রাখতে পারবেন কনকনে শীতের রাতেও।

কয়েক স্তরে কাপড় পরুন
একটা মোটা চাদর বা জ্যাকেট পরার চাইতে দুটো অপেক্ষাকৃত পাতলা সোয়েটার পরলে শীত কম লাগবে। কারণ এসব স্তর সরাসরি আপনার শরীর থেকে বাইরে তাপ পরিবহন ও পরিচলনে বাধা দেবে। এছাড়া এই দুটি স্তরের মাঝে আটকে থাকা বাতাস ইনসুলেটরের কাজ করে তাপ ধরে রাখবে আপনার শরীরে।

কাঁপুনি থামান
কাঁপুনি শুরু হওয়া মানেই হলো আশেপাশে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা যা আপনার শরীর মোটেই সহ্য করতে পারছে না। আপনার উচিত হবে দ্রুত কোনো গরম জায়গায় চলে যাওয়া। ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয় কারণ এর মাধ্যমে শরীর নিজেকে গরম করার চেষ্টা করে। পেশিগুলো কাঁপুনির মাধ্যমে ক্যালোরি ক্ষয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। কাঁপুনি থেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করবেন না মোটেই। কারণ হাইপোথার্মিয়ার মধ্যবর্তী পর্যায়ে মানুষের শরীর কাঁপুনি থামিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে কাঁপুনিতেও শরীর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।

ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করুন
শরীর যেন নিজেকে গরম রাখতে পারে তার জন্য একে জ্বালানী সরবরাহ করুন অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন। এতে আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকবে আর শরীর থাকবে গরম। এছাড়াও প্রয়োজনমতো পানি পানেও মনোযোগী থাকুন।

অভ্যাস করে ফেলুন
বাসার বাইরে শীতের মাঝে অনেকটা সময় কাটাতে হয়? ঠাণ্ডার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যান। শরীরকে ঠাণ্ডা সহ্য করতে শেখান। শরীর ফিট রাখাটা এ জন্য জরুরি। কিন্তু বেশী শুকনো গড়ন হলে আবার সমস্যা। কারণ শরীরে যথেষ্ট ফ্যাট না থাকলে শীতের মোকাবেলা করা যায় না।

ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
উচ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আপনাকে শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া বয়স্ক মানুষেরা শীতে বেশী কাবু হয়ে যান। ২ বছর বয়সের কম বয়সী বাচ্চারাও শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল। যখন বেশী শীত পরে তখন তাদের বেশী সতর্ক থাকা উচিত।

Tag :

শেয়ার করুন

শরীর গরম রাখার উপায়

আপডেট টাইম : ০৬:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: বাড়ছে শীত। কাঁপছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ। কনকনে হিম বয়ে আনা বাতাসে উঠছে হাড় কাঁপুনি। আর শীত সবচেয়ে বেশি পড়ছে রাজধানীতে। ঢাকাবাসী দিনেও মোটা কাপড় ছাড়া বের হতে পারছেন না।

শীতকালে বাড়ির বাইরে আরাম খুঁজে পাওয়াটা কঠিন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে বিজ্ঞান। প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে তাপের পরিবহন এবং পরিচলন। আপনি যখন ঠাণ্ডা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তার সংস্পর্শে আপনার পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া হলো পরিবহন।

আবার ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আপনার নাকের ডগা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াটা হলো পরিচলন। এবার দেখুন এই দুইটি জিনিস বুঝে কীভাবে নিজেকে দিব্যি গরম রাখতে পারবেন কনকনে শীতের রাতেও।

কয়েক স্তরে কাপড় পরুন
একটা মোটা চাদর বা জ্যাকেট পরার চাইতে দুটো অপেক্ষাকৃত পাতলা সোয়েটার পরলে শীত কম লাগবে। কারণ এসব স্তর সরাসরি আপনার শরীর থেকে বাইরে তাপ পরিবহন ও পরিচলনে বাধা দেবে। এছাড়া এই দুটি স্তরের মাঝে আটকে থাকা বাতাস ইনসুলেটরের কাজ করে তাপ ধরে রাখবে আপনার শরীরে।

কাঁপুনি থামান
কাঁপুনি শুরু হওয়া মানেই হলো আশেপাশে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা যা আপনার শরীর মোটেই সহ্য করতে পারছে না। আপনার উচিত হবে দ্রুত কোনো গরম জায়গায় চলে যাওয়া। ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাঁপুনি দেখা দেয় কারণ এর মাধ্যমে শরীর নিজেকে গরম করার চেষ্টা করে। পেশিগুলো কাঁপুনির মাধ্যমে ক্যালোরি ক্ষয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। কাঁপুনি থেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করবেন না মোটেই। কারণ হাইপোথার্মিয়ার মধ্যবর্তী পর্যায়ে মানুষের শরীর কাঁপুনি থামিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে কাঁপুনিতেও শরীর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।

ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করুন
শরীর যেন নিজেকে গরম রাখতে পারে তার জন্য একে জ্বালানী সরবরাহ করুন অর্থাৎ খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন। এতে আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকবে আর শরীর থাকবে গরম। এছাড়াও প্রয়োজনমতো পানি পানেও মনোযোগী থাকুন।

অভ্যাস করে ফেলুন
বাসার বাইরে শীতের মাঝে অনেকটা সময় কাটাতে হয়? ঠাণ্ডার প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যান। শরীরকে ঠাণ্ডা সহ্য করতে শেখান। শরীর ফিট রাখাটা এ জন্য জরুরি। কিন্তু বেশী শুকনো গড়ন হলে আবার সমস্যা। কারণ শরীরে যথেষ্ট ফ্যাট না থাকলে শীতের মোকাবেলা করা যায় না।

ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
উচ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের কিছু ওষুধ আছে যেগুলো আপনাকে শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া বয়স্ক মানুষেরা শীতে বেশী কাবু হয়ে যান। ২ বছর বয়সের কম বয়সী বাচ্চারাও শীতের প্রতি বেশী সংবেদনশীল। যখন বেশী শীত পরে তখন তাদের বেশী সতর্ক থাকা উচিত।