ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোকসানে গাজরচাষিরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 28

লোকসানে গাজরচাষিরা (ছবি : নিউজ লাইট ৭১)

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রতিবছর গাজর বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয় অধিকাংশ কৃষক। কিন্তু এ বছর গাজরের বীজের দাম ছিল বেশি, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফলনও হয়নি আশানুরূপ। বাজারে গাজরের দামও কম। এতে গাজরচাষিরা পড়েছেন লোকসানে।

জানা গেছে, উপজেলার কিটিংচর, দেউলী, দশানী, ভাকুম, নয়াপাড়া, মেদুলিয়া, গাজিন্দা, লক্ষীপুর, নীলটেক, কানাইনগর, মোসলেমাবাদ, বিন্নাডাঙ্গী, আজিমপুর ও চর দূর্গাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক এ বছর গাজরের চাষ করেছেন। তবে বীজের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলনও হয়েছে কম। আবার বাজারে কমেছে গাজরের দাম। এতে লাভবান না হয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে গাজরচাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গাজরখেতে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

রাজঘাটা গ্রামের গাজরচাষি মো. মগর আলী জানান, ৩০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা গাজরখেতের দাম বলেন ৫-১০ হাজার টাকা। তাই বিক্রি না করে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছি।

খানবানিয়ারা গ্রামের গাজরচাষি আবুল হোসেন বলেন, ১ কেজি গাজরের বীজ এবার ১৮ হাজার টাকায় কিনেছি। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলনও হয়েছে কম। গাজরখেত বিক্রি করবো কিন্তু পাইকার পাচ্ছি না।

জয়মন্টপ ইউনিয়নের খানবানিয়ারা গ্রামের মো. সুজন মাহমুদ বলেন, আমি এবার এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। গাজরের দাম কমে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বেপারী যাচ্ছে না আমার জমিতে। কেউ কেউ গেলেও দাম বলে খুবই কম। যাতে ফলনের খরচও উঠছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির কারণে এ বছর গাজরের ফলন তেমন ভালো হয়নি। এছাড়া বাজারে গাজরের দামও কম। গাজরচাষিদের সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

লোকসানে গাজরচাষিরা

আপডেট টাইম : ০৩:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রতিবছর গাজর বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয় অধিকাংশ কৃষক। কিন্তু এ বছর গাজরের বীজের দাম ছিল বেশি, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফলনও হয়নি আশানুরূপ। বাজারে গাজরের দামও কম। এতে গাজরচাষিরা পড়েছেন লোকসানে।

জানা গেছে, উপজেলার কিটিংচর, দেউলী, দশানী, ভাকুম, নয়াপাড়া, মেদুলিয়া, গাজিন্দা, লক্ষীপুর, নীলটেক, কানাইনগর, মোসলেমাবাদ, বিন্নাডাঙ্গী, আজিমপুর ও চর দূর্গাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কৃষক এ বছর গাজরের চাষ করেছেন। তবে বীজের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলনও হয়েছে কম। আবার বাজারে কমেছে গাজরের দাম। এতে লাভবান না হয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে গাজরচাষিদের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গাজর চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি গাজরখেতে কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

রাজঘাটা গ্রামের গাজরচাষি মো. মগর আলী জানান, ৩০ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। পাইকারি ব্যবসায়ীরা গাজরখেতের দাম বলেন ৫-১০ হাজার টাকা। তাই বিক্রি না করে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছি।

খানবানিয়ারা গ্রামের গাজরচাষি আবুল হোসেন বলেন, ১ কেজি গাজরের বীজ এবার ১৮ হাজার টাকায় কিনেছি। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ফলনও হয়েছে কম। গাজরখেত বিক্রি করবো কিন্তু পাইকার পাচ্ছি না।

জয়মন্টপ ইউনিয়নের খানবানিয়ারা গ্রামের মো. সুজন মাহমুদ বলেন, আমি এবার এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। গাজরের দাম কমে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বেপারী যাচ্ছে না আমার জমিতে। কেউ কেউ গেলেও দাম বলে খুবই কম। যাতে ফলনের খরচও উঠছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিপু সুলতান স্বপন বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির কারণে এ বছর গাজরের ফলন তেমন ভালো হয়নি। এছাড়া বাজারে গাজরের দামও কম। গাজরচাষিদের সরকারিভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

নিউজ লাইট ৭১