ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীর ভাঙনে রামপালের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্প ঝুঁকিতে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 35

বাগেরহাটের রামপালে দাউদখালী নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুইটি বাজার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আরো বড়ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল খনন করে সচল করা হয়। ওই ক্যানেলের অন্যতম শাখা নদী দাউদখালী ও খনন করা হয়। দাউদখালী নদী খননের পরে এর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, নদীটি ডিপিপি’র নকশা অনুযায়ী এবং অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ফয়লাহাটের পূর্ব পাশে পারগোবিন্দপুরে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটির একটি পাকা ঘরে নদীতে নিমজ্জিত হতে চলছে। বাজারটি ও রয়েছে ঝুঁকিতে। ওই বাজারের পূর্ব পাশের চিংড়ি পোনার আড়তের কয়েকটি ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙনের মৎস্য চাদিটি ও বিলিয়ন হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন চিংড়ি পোনা আড়তের সভাপতি কাজী রাশেদুল ইসলাম ডালিম। হুমকিতে পড়েছে কয়েকটি বসতঘরও।

এছাড়াও ঝনঝনিয়া বাজারের দোকানঘর ও চাদিসহ বড় একটি অংশ নদীতে বিলিয়ন হয়ে গেছে। পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও বেশ জায়গা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরটি নদীতে চলে গেছে অনেক আগেই। দক্ষিণ পাশের সরকারি রাস্তার একটি অংশ নদীতে বিলিন হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়বে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ জানান, ডিপিপির নকশা অনুযায়ী নদী খনন না করায় এবং নদীর মধ্যে আবাসন প্রকল্পসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করায় নদীকে শেষ করে ফেলা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত স্বত্বা হিসাবে ঘোষণা করে রায় প্রদান করার পরও সমস্যা সমাধানের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি খুব শিগ্রই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

নদীর ভাঙনে রামপালের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আবাসন প্রকল্প ঝুঁকিতে

আপডেট টাইম : ০৬:২২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাগেরহাটের রামপালে দাউদখালী নদীর তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুইটি বাজার, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আরো বড়ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু মোংলা ঘোষিয়াখালী ক্যানেল খনন করে সচল করা হয়। ওই ক্যানেলের অন্যতম শাখা নদী দাউদখালী ও খনন করা হয়। দাউদখালী নদী খননের পরে এর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, নদীটি ডিপিপি’র নকশা অনুযায়ী এবং অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ফয়লাহাটের পূর্ব পাশে পারগোবিন্দপুরে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটির একটি পাকা ঘরে নদীতে নিমজ্জিত হতে চলছে। বাজারটি ও রয়েছে ঝুঁকিতে। ওই বাজারের পূর্ব পাশের চিংড়ি পোনার আড়তের কয়েকটি ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙনের মৎস্য চাদিটি ও বিলিয়ন হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন চিংড়ি পোনা আড়তের সভাপতি কাজী রাশেদুল ইসলাম ডালিম। হুমকিতে পড়েছে কয়েকটি বসতঘরও।

এছাড়াও ঝনঝনিয়া বাজারের দোকানঘর ও চাদিসহ বড় একটি অংশ নদীতে বিলিয়ন হয়ে গেছে। পাশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও বেশ জায়গা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। কমপ্লেক্সের সীমানা প্রাচীরটি নদীতে চলে গেছে অনেক আগেই। দক্ষিণ পাশের সরকারি রাস্তার একটি অংশ নদীতে বিলিন হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা সুকান্ত কুমার পাল জানান, এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়বে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ জানান, ডিপিপির নকশা অনুযায়ী নদী খনন না করায় এবং নদীর মধ্যে আবাসন প্রকল্পসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করায় নদীকে শেষ করে ফেলা হয়েছে। মহামান্য হাইকোর্ট নদীকে জীবন্ত স্বত্বা হিসাবে ঘোষণা করে রায় প্রদান করার পরও সমস্যা সমাধানের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মহোদয় ও বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আশা করি খুব শিগ্রই সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

নিউজ লাইট ৭১