এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১২ সাল হতে এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতের সব ক্ষেত্রে ভোটারের নিবন্ধন ফরম কেন্দ্রীয় তথ্য-ভাণ্ডারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, এনআইডি সঠিকভাবেই মুদ্রিত হয়েছে। অপরদিকে সংশোধনের জন্য পাওয়া আবেদনের অধিকাংশই সংশোধনের চাহিদা অনুযায়ী যুক্তিসঙ্গত নয়। এসব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণপত্র দলিলাদি দাখিলসহ ক্ষেত্রবিশেষ তদন্ত/পুনঃতদন্তের প্রয়োজন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কিছুটা বেশি সময় লাগে।
মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তাদের এ সেবার সাথে সম্পৃক্ত করে একটি অত্যাধুনিক অনলাইন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে services.nidw.gov.bd। পাশাপাশি অফলাইন ব্যবস্থাও চালু রয়েছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, অনলাইন ব্যবস্থা চালুকরণের ফলে আবেদনকারী ঘরে বসেই তার এনআইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন করতে সক্ষম হচ্ছেন। আবেদন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটিও ট্র্যাকিং করতে পারছেন। এনআইডি সংশোধনের আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর সংশোধিত কার্ডটি অনলাইনে ডাউনলোড করার মাধ্যমে প্রিন্ট করতে পারছেন। আবেদনকারী সশরীরে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সীমিত না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এনআইডি উইংয়ের কর্মকর্তাদের পাশপাশি মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কার্যালয়সমূহের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদেরও আবেদনের ধরন অনুসারে আবেদন নিষ্পত্তিকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এনআইডি ডাটাবেস আপগ্রেডেশন করায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এনআইডি সেবা সুচারুরূপে সম্পাদনের জন্য মাঠপর্যায়ে থানা/উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তাসহ রাজস্ব খাতে একজন ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
নিউজ লাইট ৭১