সড়ক ডাকাতি বন্ধে স্থায়ী সমাধানের দাবি
- আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
- / 39
দিন শেষে সন্ধ্যা হলেই যেন বুক কেপে উঠে ভোলাহাট-শিবগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী পথচারীদের, ফলিমারি হতে সোনাজল আড়াই-তিন কিলোমিটার রাস্তায় হরহাশেয় ঘটে ডাকাতির ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি বন্ধে স্থায়ী সমাধান জরুরি। পুলিশের নিয়মিত টহল জোরদার থাকলেও ঘটে ডাকাতির ঘটনা। এর স্থায়ী সমাধানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মতামত দিয়েছেন।
একজন সবজি চাষি মোঃ এহেশান আলী জানান, সরকার ডিজিটাল ভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। আড়াই-তিন কিলোমিটার রাস্তা ডিজিটালের আওতায় আনলে ডাকাতি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হতে পারে। তিনি বলেন, রাস্তার দুধারে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে থানায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা।জনপ্রতিনিধি ইয়াজদানী জর্জ বলেন, রাস্তার দু’ধারে বিভিন্ন জাতের গাছ ভর্তি। ফলে একপ্রকার জঙ্গলে পরিনতি হয়েছে। তার কারণে সন্ধ্যা হলেই ভয়ে এ রাস্তা দিয়ে কেউ যাতাযাত করতে পারে না। ফলে গাছগুলো কেটে ফেললে রাস্তাটি ফাঁকা হলে অনেকটা আত্মংক দূর হবে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তাটির পশ্চিম দিক ভারতের খুব কাছাকাছি এবং ফাঁকা। ফলে ডাকাতের দল ঐদিকটা তারা নিরাপদ রুট মনে করে রাস্তায় ডাকাতির সুযোগ সৃষ্টি করে। এ কারণে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ টহল দিলে ডাকাতির ঘটনা স্থায়ী ভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুন জানান, স্থায়ী ভাবে ডাকাতি বন্ধে ফলিমারি হতে সোনাজল দু’আড়াই কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের বাড়ি তৈরী করে বসতি স্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে ডাকাতির ঘটনা স্থায়ী ভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মোঃ আশরাফুল হক চুনু জানান, বিশাল বড় বিলভাতিয়ায় কৃষি ইপিজেডের স্থাপনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে ডাকাতি বন্ধ হতে পারে।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মোঃ রেজাউল করিম জানান, ডাকাতি বন্ধ করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনতা, পুলিশ, বিজিবি,ফায়ার সার্ভিসসহ সকলে সমন্বয়ে স্থায়ী ভাবে ডাকাতি বন্ধ হতে পারে।উল্লেখ্য, গত মাসের ২৩ তারিখ রাত পৌনে আটায় দুটি ঢাকাগামী নৈশকোচে সোনাজল নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া প্রায় এ সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে ফলে সন্ধ্যা হলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পুলিশের টহল থাকে।
নিউজ লাইট ৭১