ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর মতিহারে ফের সক্রিয় শীর্ষ মাদক সম্রাটরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • / 50

 রাজশাহীর মতিহার থানার ডাসমাড়ি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে মাদক ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই এলাকার। রাজশাহী জুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান চললেও ডাসমাড়ি এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদাররা অধরাই রয়ে গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরএমপি পুলিশের অভিযানে মাঝে কেউ গ্রেপ্তার হলেও মাদক সম্রাটরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ডাসমাড়ি ও মিজানের মোড় এলাকার অন্যতম মাদক সম্রাট পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন। র্শীষ মাদক সম্রাট ও ওই এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের মুলহোতা আক্কাস আলীর ব্যবসায়ী পার্টনার শাহীন। শাহীনের স্ত্রী, ছেলে, ভাতিজাসহ বড়ির সবাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। প্রতিদিন তার বাড়িতে মাদক সেবীরা গিয়ে দিনে ও রাতে সব সময় ফেনসিডিল সেবন করে থাকে। তার পুরো পরিবার সবাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িতো। এছাড়া ওই এলাকার আরেক মাদক সম্রাট আসকানের ছেলে হিন্ডি কামরুল। কিছু দিন আগে কামরুল গ্রেপ্তার হলেও তার স্ত্রী ও কিশোর ভাগ্নেকে দিয়ে ফেনসিডিল বিক্রি করাচ্ছে বর্তমানে।

এছাড়া এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারীদের মধ্যে রয়েছে, ডাসমাড়ি এলাকার পালা। তার অন্যতম ব্যবসায়ী পার্টনার  মৃত আব্দুলের ছেলে জাকা ও আমিনুল। এলাকার র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী পালার পার্টনার তারা। এছাড়াও মিজানের মোড় এলাকার সাগর, সাদ্দাম, চরখিদিরপুরের আক্কাস আলী পিতা- মৃত ইমরান আলী, শহিদুল ইসলাম পিতা- মো সাজু , নবাব আলী পিতা- মৃত ইমাজ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম পিতা মৃত ইমরান, বেলাল পিতা- মৃত দুলাল, মানিক পিতা শুকুর আলী, আল আমিন পিতা আসরাফ আলী, ও সম্রাট আলী পিতা- জিন্নাত আলী, আমিনুল পিতা কুদু, এরমান পিতা জিন্নাত মতিহার সাতবাড়িয়া ও ডঁশমারী এলাকার র্শীষ তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট হিসাবে চিনহৃত।

স্থানিয়দের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে থানা পুলিশ ও আরএমপি ডিবি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে গুটি কয়েক খুচরা মাদক ব্যবসায়ী বিক্রেতা ও সেবনকারীরা গ্রেপ্তার হলেও সক্রিয় রয়েছে র্শীষ মাদক সম্রাটরা। একসময় ওই এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন আলো বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান এ তার পার্টনার আক্কাস ও শাহীন। মিজানের মোড় এলাকা মাদক ব্যবসা বর্তমানে নিয়ন্ত্রন করছে পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলার শাহস পাই না। কেউ প্রতিবাদ করলে মামলা, হামলার শিকার হতে হয় মাদক সম্রাট শাহীনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

আরো জানান, মিজানের মোড় এলাকায় মাদক নির্মূল করতে হলে পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন কে গ্রেপ্তার খুব জরুরী। ডাসমাড়ি ও মিজানের মোড় এলাকায় পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন ১০ নং চরখিদিরপুর ও চর খানপুর এলাকা থেকে মাদক পাচার করে। রয়েছে তার বিশাল নেটওয়ার্ক। এসব বিষয় ও মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিছু দিন আগে এলাকার সচেতন নাগরীদের পক্ষে চরখিদিরপুর এলাকার আনারুল ইসলাম নামে একব্যক্তি রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী বিজিবি অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয় আরএমপি মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মতিহার থানায় যোগদানের পরে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যোগদানের একমাসের মাথায় প্রায় ৩০ টি বেশি মাদক মামলা হয়েছে। আরএমপির সুযোগ্য পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে মাদক, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অব্যহত রয়েছে এলাকায়। দ্রুত এলাকায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে সকল মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ লাইট ৭১/জহিরুল ইসলাম

Tag :

শেয়ার করুন

রাজশাহীর মতিহারে ফের সক্রিয় শীর্ষ মাদক সম্রাটরা

আপডেট টাইম : ১১:০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

 রাজশাহীর মতিহার থানার ডাসমাড়ি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে মাদক ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ওই এলাকার। রাজশাহী জুড়ে মাদক বিরোধী অভিযান চললেও ডাসমাড়ি এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদাররা অধরাই রয়ে গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আরএমপি পুলিশের অভিযানে মাঝে কেউ গ্রেপ্তার হলেও মাদক সম্রাটরা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ডাসমাড়ি ও মিজানের মোড় এলাকার অন্যতম মাদক সম্রাট পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন। র্শীষ মাদক সম্রাট ও ওই এলাকার মাদক সিন্ডিকেটের মুলহোতা আক্কাস আলীর ব্যবসায়ী পার্টনার শাহীন। শাহীনের স্ত্রী, ছেলে, ভাতিজাসহ বড়ির সবাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত। প্রতিদিন তার বাড়িতে মাদক সেবীরা গিয়ে দিনে ও রাতে সব সময় ফেনসিডিল সেবন করে থাকে। তার পুরো পরিবার সবাই মাদক বিক্রির সাথে জড়িতো। এছাড়া ওই এলাকার আরেক মাদক সম্রাট আসকানের ছেলে হিন্ডি কামরুল। কিছু দিন আগে কামরুল গ্রেপ্তার হলেও তার স্ত্রী ও কিশোর ভাগ্নেকে দিয়ে ফেনসিডিল বিক্রি করাচ্ছে বর্তমানে।

এছাড়া এদের মধ্যে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারীদের মধ্যে রয়েছে, ডাসমাড়ি এলাকার পালা। তার অন্যতম ব্যবসায়ী পার্টনার  মৃত আব্দুলের ছেলে জাকা ও আমিনুল। এলাকার র্শীষ মাদক ব্যবসায়ী পালার পার্টনার তারা। এছাড়াও মিজানের মোড় এলাকার সাগর, সাদ্দাম, চরখিদিরপুরের আক্কাস আলী পিতা- মৃত ইমরান আলী, শহিদুল ইসলাম পিতা- মো সাজু , নবাব আলী পিতা- মৃত ইমাজ উদ্দিন, রবিউল ইসলাম পিতা মৃত ইমরান, বেলাল পিতা- মৃত দুলাল, মানিক পিতা শুকুর আলী, আল আমিন পিতা আসরাফ আলী, ও সম্রাট আলী পিতা- জিন্নাত আলী, আমিনুল পিতা কুদু, এরমান পিতা জিন্নাত মতিহার সাতবাড়িয়া ও ডঁশমারী এলাকার র্শীষ তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট হিসাবে চিনহৃত।

স্থানিয়দের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে থানা পুলিশ ও আরএমপি ডিবি পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে গুটি কয়েক খুচরা মাদক ব্যবসায়ী বিক্রেতা ও সেবনকারীরা গ্রেপ্তার হলেও সক্রিয় রয়েছে র্শীষ মাদক সম্রাটরা। একসময় ওই এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন আলো বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান এ তার পার্টনার আক্কাস ও শাহীন। মিজানের মোড় এলাকা মাদক ব্যবসা বর্তমানে নিয়ন্ত্রন করছে পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কথা বলার শাহস পাই না। কেউ প্রতিবাদ করলে মামলা, হামলার শিকার হতে হয় মাদক সম্রাট শাহীনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

আরো জানান, মিজানের মোড় এলাকায় মাদক নির্মূল করতে হলে পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন কে গ্রেপ্তার খুব জরুরী। ডাসমাড়ি ও মিজানের মোড় এলাকায় পাঞ্জাতনের ছেলে শাহীন ১০ নং চরখিদিরপুর ও চর খানপুর এলাকা থেকে মাদক পাচার করে। রয়েছে তার বিশাল নেটওয়ার্ক। এসব বিষয় ও মাদক ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিছু দিন আগে এলাকার সচেতন নাগরীদের পক্ষে চরখিদিরপুর এলাকার আনারুল ইসলাম নামে একব্যক্তি রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রাজশাহী বিজিবি অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয় আরএমপি মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মতিহার থানায় যোগদানের পরে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যোগদানের একমাসের মাথায় প্রায় ৩০ টি বেশি মাদক মামলা হয়েছে। আরএমপির সুযোগ্য পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে মাদক, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান অব্যহত রয়েছে এলাকায়। দ্রুত এলাকায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে সকল মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজ লাইট ৭১/জহিরুল ইসলাম